ঘূর্ণিঝড় আম্পান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ব্যাপক ক্ষতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাতের ঝড়ে প্রচুর আম ঝরে পড়ায় আম ব্যাবসায়ী ও চাষিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আম ব্যাবসায়ী ও চাষিরা জানান, সারা রাত ধরে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ২০ থেকে ৪০ ভাগ গাছের আম ঝরে পড়েছে। তবে, কৃষি বিভাগ বলছে মাত্র ৫ থেকে সাড়ে ৫ ভাগ ঝরে পড়েছে। এ ছাড়াও, জেলার অনেক স্থানে কিছু আম গাছ উপড়ে গেছে।
ঝড়ে উপড়ে পড়া আম গাছ। ছবি: স্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাতের ঝড়ে প্রচুর আম ঝরে পড়ায় আম ব্যাবসায়ী ও চাষিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আম ব্যাবসায়ী ও চাষিরা জানান, সারা রাত ধরে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ২০ থেকে ৪০ ভাগ গাছের আম ঝরে পড়েছে। তবে, কৃষি বিভাগ বলছে মাত্র ৫ থেকে সাড়ে ৫ ভাগ ঝরে পড়েছে। এ ছাড়াও, জেলার অনেক স্থানে কিছু আম গাছ উপড়ে গেছে।

চাঁপানবাবগঞ্জ সদর উপজেলার যাদুপুর গ্রামের এক আমচাষি জানান, তার বাড়ির কাছে ১৮ বিঘা ও নাচোল উপজেলার খড়ি বাড়ি গ্রামে ১০ বিঘা আম বাগান আছে। এসব আম বাগানে প্রায় ৪০ ভাগ আম ঝরে গেছে। তার ধারণা ছিল এবার এসব বাগানে পাঁচশ মণ আম হবে। কিন্তু ২৫০ মণও আম হবেনা। এমনি এ বছর আম ধরেছে কম, তারপরে করোনাভাইরাসের কারণে আম বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। এরমধ্যে ঝড় নতুন করে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলে দিলো। তিনি ১৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২৮ বিঘা বাগান লিজ নিয়েছেন। যার অর্ধেক খরচও এবার উঠবে না।

জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর গ্রামের আম ব্যাবসায়ী হাসান আল সাদী পলাশ জানান, তার ২০ বিঘা জমিতে আম গাছ রয়েছে ২২০ টি। এক বছরের জন্য তিনি ৮ লাখ টাকায় এই বাগান লিজ নেন। তার বাগানের ২০ থেকে ২৫ ভাগ আম ঝরে পড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষতি না হলেও আমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। গতরাতের ঝড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ভাগ আম ঝরে পড়েছে। কিছু আম গাছ উপড়েও গেছে। জেলায় ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। গত বছর ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল। এবার ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago