হাতিয়ায় জোয়ারে ভেসে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেছে মাছের ঘের
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় কাঁচা ঘরবাড়ি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ফসলি জমি ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে ২ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, চরঈশ্বর, নলচিরা ও শুখচর ইউনিয়নে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ঢুকে মাছের ঘের তলিয়ে গিয়ে মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, কোনো প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি।
চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দীন জানান, বেড়ির বাইরে এবং ভিতরে শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাবলু জানান, তার ইউনিয়নের ১ কি. মি. বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বুধবার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ৩ টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
নিঝুমদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দীন জানান, তার ইউনিয়নে ৮-১০ ফুট উঁচু হয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছ। এতে করে ৭টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। অনেক কাঁচা পাকা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। শতাধিক পুকুর ও মৎস খামার তলিয়ে গিয়ে মাছ ভেসে গেছে।
হাতিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘আম্পানের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গার জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। তবে ভাটায় ওই পানি চলে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি ঘরে ফিরেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। উপজেলার কোথাও প্রাণহানির কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। সোমবার রাত থেকে পুলিশ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ব্যাপক তৎপর ছিল।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম জানান, বৃহস্প্রতিবার সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষ তাদের নিজ নিজ ফিরতে শুরু করেছেন। জেলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সতর্ক সংকেতও উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রবল জোয়ারে উপজেলার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, নলেরচর ও কেরিংচরে বেশ কিছু বেড়ি বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুইশ কাঁচা ঘরবাড়ি, ১ কি.মি. বেড়ি বাঁধ, ৪০ টি মাছের ঘের এবং ৫ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে।
Comments