ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পটুয়াখালীতে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, ২ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পটুয়াখালীতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৭০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশু এবং কলাপাড়ার ধানখালীতে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিয়ন টিম লিডার মারা গেছেন।
বিভিন্ন দপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় ২,৩৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৮,১২১ বাড়ি আংশিক বিধ্বস্থ হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্থ হয়েছে এবং আংশিক
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও ৭৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮টি কলেজ ও ৫৬টি মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম বলেন, জেলায় ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এরমধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩৬০ মিটার।
প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ৬,৩৭৭ টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ জেলায় মুগডাল, চিনা বাদাম ও ভুট্টার খেতসহ ৪ হাজার ৫৫৩ হেক্টর জমির ফল-ফলাদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন বিভাগের ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
বরগুনায় ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৬ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
তিনি বলেন, জেলার ছয়টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৮০০ বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ৪টি দাখিল মাদরাসা ও ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলায় ১৩ দশমিক ৫৭ কি.মি. বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১২১টি মাছের ঘের এবং ১০টি চিংড়ির ঘের ভেসে গেছে।
এছাড়াও ২৫০ হেক্টর ফসলের খেত ও ৫০ হেক্টর সবজির খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ১৯টি গরুর খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
Comments