জিনোম সিকোয়েন্স: চট্টগ্রামের করোনাভাইরাসের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুরের ভাইরাসের মিল

চট্টগ্রামে গবেষকেরা সারস-কোভ-২ ভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তারা চট্টগ্রামে বিস্তারকারী ভাইরাসের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তারকারী ভাইরাসের জিনগত সাদৃশ্যের কথা জানিয়েছেন।

জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে আরও জানা গেছে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভাইরাসটি কমপক্ষে পাঁচবার বদলেছে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে।

যোগাযোগ করা হলে সিভাসুর প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ও যৌথ গবেষণা দলের অন্যতম গবেষক ড. জোনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা মোট সাতটি নমুনা বিশ্লেষণ করেছি যার সবকটিই চট্টগ্রাম নগর ও বিভিন্ন উপজেলার কোভিড-১৯ রোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্স এ দেখা যায় এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসের সাদৃশ্য রয়েছে।’

‘আমরা আরও দেখতে পেয়েছি, ত্রিশ হাজার বেস পেয়ার জিনোম এর পাঁচ জায়গায় মিউটেশন হয়েছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভাইরাসটি কমপক্ষে পাঁচবার নিজেকে পরিবর্তিত (মিউটেশন) করেছে।’

বিআইটিআইডি ল্যাবরেটরির প্রধান এবং গবেষণা দলের অন্যতম গবেষক ডা. শাকিল আহমেদ জানান, তারা প্রাথমিকভাবে ২৫ টি নমুনা নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে চূড়ান্তভাবে সাতটি নমুনা নির্বাচন করা হয় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য।

জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, এর মাধ্যমে ভাইরাসটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, এটা কতটা মারাত্মক, এটা কতবার নিজেকে পরিবর্তিত করেছে ইত্যাদি জানা যায়। ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা উদ্ভাবনের জন্যও এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank to intervene in forex market to curb volatility

The move was announced in BB’s latest monetary policy statement for the first half of FY26

52m ago