আম্পানের আঘাতে ঝিনাইদহের বেশিরভাগ এলাকা এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে । ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার দুই দিন পরেও ঝিনাইদহের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দুই শ খুঁটি, পিডিবির ৩০টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং তার ছিঁড়ে সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলা শহরের কিছু এলাকায় রাতে বিদ্যুৎ এলেও গ্রামগুলো এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন জানান, গত ২০ মে থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে অনেক জায়গায়। দুই দিন পার হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শৈলকূপা উপজেলার হাসমত আলী জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্কে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও বিপাকে পড়েছেন।

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল জানান, ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।

বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের মহাব্যবস্থাপক ইসাহাক আলি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করছি শিগগির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

ঝিনাইদহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকূপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি। কাজ চলছে, আশা করি দ্রুতই চালু করতে পারবো।’

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

3h ago