আম্পানে ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রায় দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক কিংবা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (ডিএসএইচই) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা আজ শনিবার এ কথা জানিয়েছেন।
তারা জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ের এক হাজার ৫০০ বিদ্যালয় ও ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিনশেডের। আম্পানের প্রবল বাতাসে এগুলোর টিনের ছাউনি উড়ে গেছে এবং দরজা, জানালা ও দেয়াল ভেঙে গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানান, অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় দেড় হাজার স্কুল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ দিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জানান, অধিদপ্তরের আওতায় থাকা প্রায় ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় আংশিক কিংবা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা দুজনেই অবশ্য জানিয়েছেন যে এই স্কুলগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
গত ২০ মে সন্ধ্যায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে দেশের উপকূলীয় এলাকার খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নয়টি জেলার অন্তত দশ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ১২ জন মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Comments