ব্রেসলেট বিক্রির ৪২ লাখ টাকা দিয়ে যেসব সহায়তা করবেন মাশরাফি
সাধারণ এক ব্রেসলেট। কিন্তু সেটা মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে ১৮ বছর ধরে লেগে ছিল বলেই হয়ে উঠল অমূল্য। এই স্মারক নিলামে তুলে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক পেয়েছেন ৪২ লাখ টাকা। যা দিয়ে করোনাভাইরাসে সংকটে পড়া মানুষকে সাহায্য করবেন।
শনিবার রাতে তামিম ইকবালের লাইভ আড্ডার শেষ পর্বে এসে মাশরাফি জানান, কোথায় কোথায় খরচ করা হবে সব টাকা। আড্ডার অতিথি হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
সাংসদ হিসেবে শুরু থেকেই নিজ এলাকা নড়াইলে মানুষের পাশে আছেন মাশরাফি। এবার বাড়তি কিছু টাকা যোগ হওয়ায় সেটা কাজে লাগানোর সুপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি। ৪২ লাখের ২৫ লাখই তাই যাবে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনে, ‘যে পরিকল্পনা করেছি, ২৫ লাখ খরচ করব নড়াইলে, বাকিটা বাইরে যত জায়গায় দেওয়া যায়। যেহেতু নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এসেছে, সেই শ্রদ্ধাটা তাদেরকে করতে হবে। নড়াইলের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী, ফাউন্ডেশনের কর্মী যারা আছেন, কয়েক দফায় সভা করেছেন তারা, নড়াইলের অংশের টাকা কীভাবে খরচ করা যায়।’
বাকি টাকা খরচ হবে নড়াইলের বাইরে। এরমধ্যে একটা অংশ দিয়ে সহায়তা করা হবে সংকটে পড়া তৃণমূলের কোচদের, ‘নড়াইলের বাইরের অংশ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেই যে পরিকল্পনা করেছি, ঢাকা মেট্রোপলিটনের ভেতরে ৮০ জন ক্রিকেট কোচ আছেন, যারা এখন বেকার। কাজ নেই, প্র্যাকটিস করাতে পারছেন না। এটা দ্রুতই দিয়ে দেব। আরও কয়েকটা জায়গা আছে, যেগুলো সামনে আস্তে আস্তে তুলে ধরব।’
মাশরাফি জানান এরমধ্যে চলমান আছে কিছু সহায়তা কার্যক্রমও, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গরীব শিক্ষার্থী যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত, ডাকসুর মাধ্যমে তাদের সহায়তা দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সেই সঙ্গে ব্লাড ডোনারদের সংগঠনে দিচ্ছি। এরকম জায়গা ঠিক করছি আরও। পুরোটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, চেষ্টা করছি পরিকল্পনা সাজানোর।’
স্মারক নিলামে তুলে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির কাছে। সেখান থেকে পাওয়া ১৭ লাখ টাকা এরমধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি ৫-৬ টা জায়গায় দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপুর উদ্যোগের জায়গায় কিছু দিয়েছি। হুইলচেয়ার ক্রিকেটারদের দিয়েছি কিছু। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হুইলচেয়ার দল আছে একটা, ওদের দিয়েছি। আর আমার বগুড়ায় অনেক লোক আছে, তাদের অবস্থা ভালো নয়। ওখানেও অনেকটা সহায়তা করা হয়েছে। আমার বিতরণ করা প্রায় শেষ।’
Comments