চাঁদপুরের ৪০ ও পটুয়াখালীর ২২ গ্রামে ঈদ উদযাপন
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/chandpur_eid.jpg?itok=_NPRKzUp×tamp=1590318125)
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রোববার চাঁদপুরের ৪০টি ও পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
চাঁদপুর
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ সংলগ্ন বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৯ টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদগঞ্জ মুন্সিরহাট এলাকার ব্যবসায়ী টিটু মুন্সি জানান, মুসল্লিরা সকাল ৯টা থেকে ১০টা মধ্যে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাঁয়ে ঈদের জামাতে অংশ নেন।
সাদ্রা দরবার শরীফের বাকী বিল্লাহ জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এর আগে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করানো হয়।
হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ইসহাক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের রীতি চালু করলে পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় ৪০ গ্রামের অর্ধ লাখ মুসল্লি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সকাল ৯ টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া জেলার কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, বাউফল ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বদরপুর দরবার শরীফের খতিব মাওলানা মো. শফিকুল গনি বলেন, ‘সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্য দেশের মুসলমানদের সঙ্গে একই দিনে আমরা রোজা, ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল-আযহা পালন করে থাকি। প্রায় ৮০’ বছর ধরে এটি চলে আসছে।’
এছাড়াও জেলার কলাপাড়া উপজেলার উত্তর লালুয়া, মাঝিবাড়ি, দেবপুর, পাটুয়া, নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়িয়া, সাফাখালী, তেগাছিয়া, আরামগঞ্জ, পাঁচজুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, স্লুইসঘাট, গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া, ফুলখালী, ছোটবাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী, কাটাখালী, বাউফল উপজেলার বগা, ধাউরাভাঙ্গা, মদনপুরা, সাবুপুরা ও আমিরাবাদ এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।
Comments