করোনার চিকিৎসায় ১৩ হাসপাতালে রেমডেসিভির সরবরাহ শুরু করেছে এসকেএফ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির বাজারজাত করার অনুমতি পেয়েছে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর আজ ১৩টি হাসপাতালে ওষুধটি সরবরাহ করা হয়েছে। ‘রেমিভির’ বাণিজ্যিক নামে ওষুধটি দেশে উৎপাদন করছে এসকেএফ।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ওষুধটি সরবরাহে এসকেএফ-কে অনুমোদন দিয়েছে অধিদপ্তর।
কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় ওষুধ প্রস্তুতকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস এর তৈরি রেমডেসিভির সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) মে মাসের শুরুতে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। জাপানের ওষুধ প্রশাসন ৭ মে থেকে ওষুধটি করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
এ অবস্থায় গত ৮ মে এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন জানান যে তারা রেমডেসিভির উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
সিমিন হোসেন বলেন, এসকেএফ চায় বাংলাদেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে। এর চিকিৎসা যেন সহজলভ্য হয় সে জন্য এসকেএফ কাজ করছে। রেমডেসিভির জাতীয় ওষুধ রেমিভির তৈরির পেছনেও সেই একই লক্ষ্য কাজ করেছে।
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডেসিভির। গিলিয়েডের নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।
এসকেএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেমিভির উৎপাদন করা হয়েছে এসকেএফের ফারাজ আইয়াজ হোসেন ভবনের প্ল্যান্টে। সেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ও সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিল্পপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ট্রান্সকম গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৩০ বছর ধরে ওষুধ উৎপাদন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাইরে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের ৩০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে আসছে।
আরও পড়ুন:
Comments