শৃঙ্খলা রক্ষার নামে চেয়ারম্যানের ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব, আহত ৩
শৃঙ্খলা রক্ষার নামে চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলার একটি বাজারে ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে লোকজনকে আহত ও বেশকিছু দোকানপাট ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাঁশখালি উপজেলার চাম্বল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চেয়ারম্যানের হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিন জন। দোকান ভাঙচুর করেছেন ১০টির মতো।
স্থানীয়রা জানান, সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভাঙচুর চলে। এরপর চাম্বল বাজারের পাশে ইউনিয়ন পরিষদে ফিরে যান চেয়ারম্যান মুজিবুল।
ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চাম্বল বাজারে খোলা থাকা দোকানে হঠাৎ লাঠি হাতে ভাঙচুর শুরু করেন মুজিবুল হক। এসময় মাস্ক না পরায় একজনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে দেখা গেছে তাকে।
ভাঙচুর, হামলার পাশাপাশি দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট করতে দেখা গেছে তাকে। এসময় আকুতি জানিয়েও তার হামলা থেকে বাঁচতে পারেননি কেউ কেউ। ভীতসন্ত্রস্ত পথচারীরা তার হামলা থেকে বাঁচতে পালাতে দেখা গেছে বাজার থেকে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাজারের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কয়েকটি দোকানে এভাবে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়।
যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফেসবুক খুললেই দেখি চাম্বল বাজারের লোকে-লোকারণ্য। এভাবে তো চলতে দেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে থানার ওসি আর ইউএনও বাজারে এসে দেখে রাত ১২ টায়ও চাম্বল বাজারে মানুষ। আমাকে ডেকে এনে দেখিয়েছে আমার বাজারের অবস্থা, তিনি বলেন।’
‘এভাবে না করলে মানুষ সহজে মানতে চায় না,’ বলেন তিনি।
এভাবে মানুষের গায়ে হাত তোলার আইনি এখতিয়ার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু করলেও দোষ, না করলেও দোষ।’
কারও গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
জানতে চাইলে বাঁশখালির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি তাকে তো কাউকে আঘাত করতে বা ভাঙচুর করতে বলিনি। স্বাভাবিকভাবে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে কোয়ারেন্টিন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছি।’
‘ঘটনার বিষয়ে আমি প্রথম জানলাম আপনার কাছ থেকে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেব,’ বলেন ইউএনও।
Comments