রাজশাহীতে নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, নমুনা সংগ্রহ

রাজশাহী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজশাহীতে ঈদের দিন সকালে পুঠিয়া থানায় কর্মরত অবস্থায় কনস্টেবল সামিয়ারা খাতুন (২৭) মারা গেছেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সামিয়ারার দুই বছরের একটি সন্তান আছে।  

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৬টায় দু ঘণ্টার সেন্ট্রি ডিউটিতে যোগ দেন সামিয়ারা। এর অল্প সময় পরেই দুবার বমি করেন। তারপরই নিস্তেজ হয়ে যান।’

তিনি জানান, সামিয়ারাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যা‌ওয়া হলে সকাল ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তিনি জানান, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন সামিয়ারা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। তবে তার মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার শরীরে অন্য কোন রোগও পূর্ব থেকে চিহ্নিত ছিল না।

সামিয়ারার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য উল্লেখ করে ওসি বলেন, আগের দিন সন্ধ্যা থেকে পেট ব্যথার কথা বলছিলেন সামিয়ারা। সেদিন রাত ১০টায় থানায় ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

জানা যায়, থানার পাশেই একটি ভাড়া বাড়িতে তার স্বামী, শিশু সন্তান ও এক খালার সাথে বাস করতেন সামিয়ারা। তার স্বামী তরিকুল ইসলাম গাজীপুরে একটি তৈরী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে গত প্রায় মাস খানেক হলো বাড়িতেই থাকেন তিনি।  

পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমা বেগম বলেন, সামিয়ারাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

‘আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, হাসপাতালে পৌঁছার অন্তত আধা ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তবে পূর্বে তার কোন রোগে ভোগার ইতিহাস ছিল না,’ বলেন তিনি।  

পুলিস সদস্যের মৃত্যুর তদন্ত করা হবে কি না জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম না সূচক জবাব দেন।

তিনি বলেন, ‘সামিয়ারার পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই। তারা ময়নাতদন্ত করে তার দেহকে আঘাত করতেও চান না।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago