দুই জেলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ৭ জনের মৃত্যু
জয়পুরহাট ও নারায়ণগঞ্জে ঝড়ের কবলে পড়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জয়পুরহাটে মারা গেছেন একই পরিবারের তিন জনসহ মোট চার জন।
আজ বুধবার ভোররাতে জয়পুরহাটের কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ঝড় বয়ে যায়। ক্ষেতলাল উপজেলার খালিশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, শিল্পী বেগম (২৭) তার দুই ছেলে নেওয়াজ (৭) ও নিয়ামুল হোসেনকে (৪) নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ঝড়ে দেয়াল চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া, কালাই উপজেলায় ঝড়ে উড়ে আসা পোলট্রি খামারের টিনের আঘাতে মরিয়ম বেগম (৭০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার হারুঞ্জা আকন্দপাড়া গ্রামে।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন সংবাদিকদের বলেন, ‘রাতের ঝড়ে জয়পুরহাটের দুটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪০টি গ্রামের ফসল নষ্ট হয়েছে। কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি-ঘর ও অসংখ্যা গাছপালা ভেঙে পড়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এসএম মেফতাহুল বারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ধান ও শাক-সবজির খেতে পানি জমে গেছে। ক্ষেতলাল উপজেলার তিলাব্দুল গ্রামে খামার ভেঙে পড়ে আনুমানিক ৪০ হাজার মুরগির বাচ্চা মারা গেছে।’
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় রসূলবাগ এলাকায় বজ্রপাতে ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে একটি টিনের ঘরের ওপর পড়ে। ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়।’
ঘটনাস্থল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক নারী, ১০ বছর বয়সী এক কন্যা শিশু ও সাড়ে তিন বছরের এক ছেলে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’
Comments