রোহিঙ্গাদের নমুনার চাপে কক্সবাজার মেডিকেলে করোনা পরীক্ষায় জট

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইইডিসিআরের ফিল্ড ল্যাবে সক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা আসায় করোনা পরীক্ষায় জট লেগেছে। প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গার নমুনা সংগ্রহ, জনবল সংকট, ঈদের ছুটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের বড় দুটি উপজেলাকে কক্সবাজার ল্যাবে সম্পৃক্ত করে দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন কারণে এ জট সৃষ্টি হয়েছে বলে ল্যাবের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। ছবি: রয়টার্স

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইইডিসিআরের ফিল্ড ল্যাবে সক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা আসায় করোনা পরীক্ষায় জট লেগেছে। প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গার নমুনা সংগ্রহ, জনবল সংকট, ঈদের ছুটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের বড় দুটি উপজেলাকে কক্সবাজার ল্যাবে সম্পৃক্ত করে দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন কারণে এ জট সৃষ্টি হয়েছে বলে ল্যাবের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, আইইডিসিআরের ফিল্ড ল্যাবে প্রতিদিন ৩০০ নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। পুরো কক্সবাজার ও বান্দরবানের দায়িত্ব রয়েছে এই ল্যাবের ওপর। এর মধ্যে শুধু রোহিঙ্গা আর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা থেকে প্রতিদিন চারশত জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে জমা হচ্ছে। যত বেশি কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে তত বেশি নমুনা আসছে পরীক্ষার জন্য। কারণ আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সবার পরীক্ষা করা জরুরি।

কক্সবাজারে বর্তমানে একটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। চার দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরেকটি ল্যাব স্থাপন করে দিয়েছে। কিন্তু জনবল না থাকায় ওই ল্যাবে চালু করা যাচ্ছে না।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ, আবার বান্দরবান ও চট্টগ্রামের বড় দুটি উপজেলা কক্সবাজার ল্যাবে সম্পৃক্ত করা, জনবলের কিছুটা সংকট, ঈদের ছুটি ইত্যাদি কারণে নমুনা পরীক্ষায় সামান্য জট লেগেছে। তবে জট কয়েকদিনের মধ্যে কমে যাবে। নতুন যে ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে সেখানে কয়েক দিনের মধ্যে ১৫ জন কাজে যোগ দেবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে আরও চারটি ল্যাবে পরীক্ষা সুবিধা সম্প্রসারিত হচ্ছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি ল্যাব হওয়ার কথা রয়েছে। বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলা এবং লোহাগাড়া ও সাতকানিয়াকে চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করলে কক্সবাজারের ল্যাবে নমুনার জট কমে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago