নোয়াখালীতে মৃত ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, স্ত্রী-ছেলেরও পজিটিভ
জ্বর, শ্বাসকষ্টে গত রোববার নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া ৫৫ বছরের বয়সী ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনা শনাক্ত হয়েছে তার স্ত্রী ও ছেলেরও। এ নিয়ে নোয়াখালীতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ১১।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, গত ২৪ মে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। তার সংস্পর্শে আসা স্ত্রী ও এক ছেলেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে আসা রিপোর্টে জানা যায় তারা সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
এ ছাড়াও উপজেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও সাত জন। যার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন পরিসংখ্যানবিদ রয়েছেন। জেলায় মোট নতুন শনাক্ত ৬০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। আক্রান্তদের বাড়ি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪২৭ জন। বেগমগঞ্জে ২২৪, কবিরহাটে ৫৬, সদরে ৬০, চাটখিলে ৩০, সোনাইমুড়ীতে ১৯, সুবর্ণচরে ১৪, সেনবাগে ১১, কোম্পানীগঞ্জে সাত ও হাতিয়ায় ছয় জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।
Comments