লকডাউনে যুক্তরাজ্যে বেকার হচ্ছেন চাকরিজীবী মায়েরা
যুক্তরাজ্যে লকডাউন চলাকালীন চাকরিজীবী মায়েদের চাকরি হারানোর প্রবণতা বেড়েছে। ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজের (আইএফএস) এক গবেষণা বলছে, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যে যে কয়জন চাকরিজীবী মা চাকরি হারিয়েছেন অথবা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন তাদের সংখ্যা বাবাদের তুলনায় বেশি।
ওই গবেষণা নিয়ে সিএনএনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় যুক্তরাজ্যের চাকরিজীবী মায়েদের ওপর গৃহস্থালি কাজের চাপ বেড়েছে।
গবেষণাটি বলছে, লকডাউন চালু হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোতে বাবাদের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বেশি চাকরিজীবী মায়েরা চাকরি ছেড়েছেন। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান ও বর্তমান অবস্থা যাচাই করলে দেখা যায় যে, চাকরিজীবী মায়েরা বাবাদের বাবাদের তুলনায় প্রায় নয় শতাংশ পিছিয়ে গেছেন।
আইএফএসের গবেষণায় এও বলা হয়েছে যে, লকডাউন চলাকালীন পুরুষের তুলনায় অধিকাংশ নারীরাই গৃহস্থালির বেশিরভাগ কাজ সামলাচ্ছেন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ চাকরিজীবী নারীই বাড়িতে থেকে কাজ (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) অথবা জরুরি সেবা খাতে কাজ করছেন।
স্বাভাবিক সময়ে চাকরিজীবী মায়েরা ডে কেয়ারসহ অন্যান্য সুবিধা পেলেও বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না। একা হাতেই তাদেরকে শিশুর দেখাশোনাসহ অন্যান্য কাজ পুরুষের তুলনায় বেশি সামলাতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি বলছে, ‘বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে মায়েরা বাবাদের তুলনায় দিনে গড়ে দুই ঘণ্টা কম কাজ করতে পারছেন। অন্যদিকে, শিশুর দেখাশোনা ও অন্যান্য কাজের জন্য আগের তুলনায় প্রতিদিন গড়ে চার ঘণ্টা বেশি সময় দিচ্ছেন।’
চাকরির পাশাপাশি ঘরের অন্যান্য কাজ সামলাতে গিয়ে চাকরিজীবী মায়েদের দিনের প্রায় ৪৭ শতাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। অন্যদিকে, বাবারা ব্যস্ত থাকেন প্রায় ৩০ শতাংশ সময়।
সিএনএন জানায়, এই গবেষণাটির মাধ্যমে লকডাউনের মধ্যেই একই পরিবারের দুই লিঙ্গের চাকরিজীবীদের মধ্যে দায়িত্বের পার্থক্য স্পষ্ট হয়।
গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ সালে চাকরিজীবী মায়েরা একই কাজ করে বাবাদের বেতনের ৮০ শতাংশ পেতেন। বর্তমানে তারা ৭০ শতাংশ পাচ্ছেন। সে সময় বাবারা যতটুকু সময় অফিসের কাজে ব্যয় করতেন, মায়েরাও গড়ে সেই তুলনায় ৭৩ শতাংশ সময় ব্যয় করতেন। বর্তমানে তা কমে ৬৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
Comments