‘শিথিলতা’ বিষয়ে জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ

দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রযোজ্য বিধিগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ না করে তা শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
ছবি: স্টার ফাইল ফটো

দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রযোজ্য বিধিগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ না করে তা শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এর ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৬ষ্ঠ সভার এ কথা বলা হয়।

কমিটির সুপারিশে বলা হয়, সংক্রামক রোগ ‘কোভিড-১৯’ হাঁচি-কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। জনসমাগম এ রোগের বিস্তারের জন্য সহায়ক।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা এই যে রোগ সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে না কমার আগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালু করলে রোগের হার বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ বিষয়ে গত ৭ মে পরামর্শ দিয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা সুপারিশগুলোতে আরও বলা হয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধানগুলো সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে তা শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগে হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন নামক ওষুধ ব্যবহারের ঝুঁকি সম্বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ ওষধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ‘কোভিড-১৯’ রোগের চিকিৎসার গাইডলাইনে এ ওষুধ না রাখার পরামর্শও দিচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আইভারমেকটিন, কনাভালোসেন্ট প্লাজমা ও অন্যান্য অননুমোদিত ওষুধ শুধুমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে অনুমোদিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে ব্যবহার না করার সুপারিশ করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় এ সব ওষুধ বা ব্যবস্থা চিকিৎসা বা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহার না করার পরামর্শও দিচ্ছে কারিগরি কমিটি।

‘কোভিড-১৯’ ও অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা একই হাসপাতালে পৃথক পৃথক ব্যবস্থায় করার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে কারিগরি পরামর্শক কমিটি সঠিক মনে করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক, সাংগঠনিক, জনবল ও সরঞ্জামের বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে বলেও মনে করে পরামর্শ কমিটি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago