লিবিয়াতেই কেন বাংলাদেশিদের মৃত্যু?

ছাব্বিশ জন বাংলাদেশিকে এক সঙ্গে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে লিবিয়ায়। আহত আরও ১১ জন। প্রত্যেকেই হয়তো স্বপ্ন দেখেছিলেন বিদেশে যাবেন, ইউরোপে যাবেন। অথচ মানবপাচারকারীদের গুলিতে জীবন গেল।
Libya map
সংগৃহীত

ছাব্বিশ জন বাংলাদেশিকে এক সঙ্গে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে লিবিয়ায়। আহত আরও ১১ জন। প্রত্যেকেই হয়তো স্বপ্ন দেখেছিলেন বিদেশে যাবেন, ইউরোপে যাবেন। অথচ মানবপাচারকারীদের গুলিতে জীবন গেল।

দেড় যুগের সাংবাদিকতা জীবনে অগ্নিকাণ্ড, দুর্ঘটনা, সাগরে ডুবে প্রাণহানিসহ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর নানা সংবাদ কখনো লিখতে কখনো বা শুনতে হয়েছে। কিন্তু, পৃথিবীর অন্য কোন দেশে গুলিতে এতো বাংলাদেশির মৃত্যুর সংবাদ কখনো শুনতে হয়নি। কী নির্মম ঘটনা!

লিবিয়ার ইংরেজি দৈনিক অবজারভারে গতকাল রাতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর এই সংবাদটি প্রথম চোখে পড়ে। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির সূত্র দিয়ে সংবাদে বলা হয়, লিবিয়ার এক মানব পাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা গুলি চালিয়ে ৩০ অভিবাসীকে হত্যা করে যার মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। ওই পাচারকারী আগেই মারা গেছেন। সেই মৃত্যুর দায় এই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়ে গুলি চালায় স্বজনেরা। গুলিবিদ্ধ আরও ১১ বাংলাদেশিকে জিনতান হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আর বেশি কিছু নেই। শুধু বলা হয়েছে, হত্যাকারীদের ধরতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অবশ্য লিবিয়ায় এখন কে যে কাকে নির্দেশ দেয়! ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ার দখল নিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যেভাবে শত শত দল-উপদল জন্ম নিয়েছে সেই যুদ্ধ আর অস্থিরতাতেই তো লিবিয়াকে মানবপাচারের কেন্দ্রে পরিণত করেছে।

ছাব্বিশ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে লিবিয়ার মিজদা শহরে। গুগল ম্যাপে মিজদা শহরটা দেখতে গিয়ে চোখে পড়লো মরুভূমির এই শহর থেকে ভূমধ্যসাগর খুব বেশি দূরে নয়। আর এই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিলেই তো ইউরোপ।

আহা ইউরোপ! কতো কতো বাংলাদেশি শ্রম অভিবাসীর স্বপ্নের গন্তব্য! এই স্বপ্নের জন্যই তো এতো ঝুঁকি, এতো মৃত্যু। আহত ১১ বাংলাদেশির ভাষ্য পাওয়া গেলে জানা যেত, কবে তারা বাংলাদেশ থেকে রওয়ানা হয়েছিলেন। গন্তব্য কোথায় ছিল? কারা তাদের নিয়ে এসেছিল। কতো টাকা লেগেছিল? কতোদিন আগে তারা এসেছিলেন?

তবে গল্পগুলো তো ঘুরে ফিরে একই। লিবিয়ায় এত প্রাণহানি ঘটে কারণ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিলেই ইউরোপ। এই তো গতবছরের ৯ মে’র ঘটনা। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ৮০ জন মানুষ, যাদের মধ্যে ৫০ জনই বাংলাদেশি। ছোট্ট একটি নৌকায় শুরু হলো যাত্রা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বপ্নের সেই যাত্রা হয়ে উঠল মরণযাত্রা। ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি উল্টে গেলো। মারা গেলো ৩৯ বাংলাদেশি।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার এই চেষ্টা তো কখনো থেমে নেই। এই তো তিন দিন আগেই ভূমধ্যসাগর থেকে ৪০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হলো। একদিকে করোনা মহামারি, আরেক দিকে ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সংঘাত। এই সংঘাতের শুরুটা অবশ্য ২০১১ সালে।

পেছনের ইতিহাসে গেলে দেখা যাবে, ষাটের দশকে তেল পাওয়ার আগে লিবিয়া একটি দরিদ্র রাষ্ট্র ছিল। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুদ আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই লোকজন যাচ্ছিল লিবিয়ায়। তবে বছরে দুই-তিন হাজারেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু, ২০০৯ ও ২০১০ সালে ৩৪ হাজার বাংলাদেশি যায় দেশটিতে।

এরপরেই শুরু হলো লিবিয়ার যুদ্ধ। ২০১১ সালে ৩৭ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হলো। যুদ্ধ আর প্রানহানির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেল লিবিয়ার শ্রমবাজার। কিন্তু, এই যুদ্ধ আর অস্থিরতাকে পুঁজি করে সক্রিয় হলো আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীরা। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার স্রোতে তখনো লাখো মানুষ। সেই তালিকার শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বিস্ময়করভাবে দেখা গেলো বাংলাদেশিদের।

সিরিয়ার মতো লিবিয়াতেও গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে। ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফিকে উৎখাত করে। এরপর থেকেই লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। আর চলছে লিবিয়ার সীমান্ত ব্যবহার করে মানবপাচার, যাদের গন্তব্য ইউরোপ।

বর্তমানে একদিকে জাতিসংঘ স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সেরাজ, আরেকদিকে জেনারেল খলিফা হাফতারের বিদ্রোহী বাহিনী। বিবদমান দুই পক্ষই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সমর্থন পাচ্ছে।

গত কয়েক মাসে যুদ্ধে নতুন করে হাজার হাজার মানুষ মরেছে। বাস্তুহারা হয়েছে আরও প্রায় দেড় লাখ মানুষ। ফের চারিদিকে সংঘাত শুরু হওয়ায় হাজার হাজার অভিবাসী লিবিয়া উপকূল ব্যবহার করে ইউরোপে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশিরাও আছেন সেই মিছিলে যাদের স্বপ্ন ইউরোপ যাত্রা। আর এই যাত্রায় প্রাণহানির সংবাদ নিয়মিত ঘটনা।

লিবিয়ার উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে মিশর, দক্ষিণ-পূর্বে সুদান, দক্ষিণে শাদ ও নাইজার, এবং পশ্চিমে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া। সীমান্তের প্রতিটি দেশ ব্যবহার করে লিবিয়ায় এসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছে অভিবাসন প্রত্যাশারা। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাতে প্রাণ যাচ্ছে বাংলাদেশিদেরও।

২০১৫ সালের ২৭ আগস্টের কথা শুনুন। লিবিয়ার জোয়ার সাহারা থেকে সেদিন নৌকায় করে ইতালির পথে রওনা হয়েছিলেন ২০০ মানুষ। প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ধরে নৌকা চলছিল। হঠাৎ পাটাতনে পানি চলে আসায় নৌকা ডুবে যেতে থাকে। শেষ মুহূর্তে কোস্টগার্ড এসে উদ্ধার করায় বেঁচে যান বাংলাদেশের মাগুরার ছেলে রুবেল শেখ। সেদিন ২৪ জন বাংলাদেশিসহ ১১৮ জনের মৃত্যু হয়। ট্রলারের পাটাতনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় লাশ আর লাশ।

সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৫ সালে নিহত সিরীয় শিশু আয়লানের ছবি সবাইকে কাঁদিয়েছিলো। কিন্তু, আমরা কতজন জানি লিবিয়ায় নিহত বাংলাদেশি শিশু ইউসুফের কথা? ওই দুর্ঘটনায় বাবা রমজান আলীর সঙ্গে ইউসুফের লাশটি সেদিন ভেসে গিয়েছিল ভূমধ্যসাগরে। গত কয়েক বছরে লিবিয়ায় নানাভাবে মারা যাওয়া শতাধিক লাশ এসেছে বাংলাদেশে।

এই তো গত বছরের মে মাসে ৩৯ বাংলাদেশির মৃত্যুর এক মাস পরেই জানা গেল, ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় ৬৪ জন বাংলাদেশি ১৪ দিন ধরে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকায় ভাসছেন। হাইকোর্ট ওই ঘটনার পর সমুদ্রপথে এভাবে মানবপাচার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। তবে তাতে থেমে থাকেনি মানবপাচার।

গত নভেম্বরেও ভূমধ্যসাগর থেকে ২০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে ১৭১ জন ছিলেন বাংলাদেশি।

লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দেশে ফিরেছেন এমন অনেকে বলেছেন, ঢাকা থেকে লিবিয়া যেতে একজনকে দশ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দিতে হয়। এরপর একটি চক্র ঢাকা থেকে তাদের দুবাই নেয়। সেখান থেকে লিবিয়া।

লিবিয়ায় রীতিমত প্রশিক্ষণ চলে কীভাবে সাগরপড়ি দিতে হবে। যাওয়ার আগে আবার দিতে হয় টাকা। এই টাকা আদায়ে জিম্মি করা বা নিপীড়নের ঘটনা ঘটে নিয়মিত।

এই তো ২০১৭ সালের ৫ মে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট সংবাদ প্রকাশ করল, যার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ ইজ নাও দ্য সিঙ্গেল বিগেস্ট কান্ট্রি অব অরিজিন ফর রিফিউজিস অন বোটস এজ নিউরুট টু ইউরোপ এমারজেস’। ওই সংবাদে লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়াসহ ইউরোপে কীভাবে অবৈধ বাংলাদেশিরা প্রবেশ করছে, তার তথ্য তুলে ধরা হয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ২০১৭ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ঢোকার চেষ্টা করেছে যেসব দেশের নাগরিকেরা, বাংলাদেশ তাতে প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর দিয়ে যত মানুষ ইউরোপে প্রবেশ করা চেষ্টা করে, সেই তালিকার শীর্ষ দশে আছে বাংলাদেশ।

গত কয়েক বছরে কখনো বাংলাদেশ শীর্ষ দেশ থেকে সরেনি। সর্বশেষ তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা বাকি দেশগুলোর নাম শুনবেন? আফগানিস্তান, সিরিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, মালি, আইভরি কোস্ট, ইরাক, গায়েনা ও সুদান।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, বাংলাদেশের নাগরিকরা কেন আফ্রিকা বা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান্তিান বা সিরিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে এভাবে সাগর পাড়ি দিচ্ছে?

অভিবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো বৈঠকে গেলেই এই প্রশ্নগুলো শুনতে হয়। এই তো এ বছরের মার্চে অনিয়মিত পন্থায় ইউরোপে প্রবেশ করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের কীভাবে দেশে ফেরত পাঠানো যায় তা নিয়ে একটি বৈঠক হয়ে গেল।

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমাকেও থাকতে হয়েছিল সেই বৈঠকে। সেখানে কিন্তু ইউরোপের দেশগুলো পরিস্কার করে বলেছে, কেউ যদি মনে করে অবৈধভাবে প্রবেশ করা তার অধিকার তেমনি সবার মনে রাখা উচিত অবৈধভাবে আসাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটাও প্রতিটা রাষ্ট্রের অধিকার। ওই বৈঠকে অনেকেই জানতে চায়, বাংলাদেশ এভাবে অবৈধভাবে ইউরোপে আসা বন্ধে কী করছে?

অনেক বাংলাদেশিরই জানা নেই, ইউরোপের পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। ইউরোপ এখন আর অবৈধভাবে আসা লোকজনকে আশ্রয় দিতে রাজি নয়। বরং কাগজপত্রহীন মানুষগুলোকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই তো বছর তিনেক আগে ইউরোপ তো বলেই বসল, অবৈধ এ সব লোকজনকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা না হলে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যথাযথ কাগজপত্রবিহীন মানুষগুলোকে এখন ইউরোপ নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে।

হ্যাঁ, করোনার পর ইতালি বলেছে তারা অবৈধদের বৈধ করবে। আর এই ঘোষণা শুনেই ইতালির দিকে ছুটতে শুরু করেছে অনেক মানুষ। কিন্তু, নতুন করে সেখানে গিয়ে তো এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। বরং অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করলে নানা করুণ পরিণতির আশঙ্কা রয়েছে যার সর্বশেষ ঘটনা ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা।

বাংলাদেশের উচিত এই ঘটনার বিচার চাওয়া। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টি তোলা উচিত। পাশাপাশি সমুদপথ দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার ঘটনাগুলো বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে বিশ লাখ মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন। এভাবে সাগরপথ পাড়ি দিতে গিয়ে ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন।

মূলত বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। কাজেই এই এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচার চক্রকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বাংলাদেশকেই। পাশাপাশি যে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্র রয়েছে লিবিয়া বা অন্য দেশে তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে আন্তর্জাতিকভাবে।

বাংলাদেশ যেহেতু ‘পালেরমো প্রোটোকল’ অনুসমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজেই সেই সুযোগ রয়েই গেছে। মনে রাখতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এমন প্রাণহানির ঘটনা চলতেই থাকবে। স্বজন হারাতে হবে অনেক পরিবারকে। সংকটে পড়বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি। কাজেই এই মরণযাত্রা বন্ধ করতেই হবে।

শরিফুল হাসান, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও কলামিস্ট। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান।

 

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।) 

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago