করোনা প্রতিরোধে গণপরিবহনে চলাচলে সতর্কতা

গণপরিবহন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু, গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে অবশ্যই।
Public transport
ছবি: স্টার

গণপরিবহন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু, গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে অবশ্যই।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে চলমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধে লকডাউনের অংশ হিসেবে সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি সীমিত আকারে চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাস, ট্রেন ও ফেরি ইত্যাদি গণপরিবহনে ভ্রমণের সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সংক্রমণ ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমানো যায়। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সংক্রামক রোগের মহামারি প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।

করণীয়:

১. অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। সম্ভব হলে গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন, যেটি যাত্রাশেষে নিরাপদ জায়গায় ফেলে দিবেন অবশ্যই।

২. যাত্রাশেষে দ্রুত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলুন।

৩. বসার সিট ছাড়া যানবাহনের অন্য যে কোনো অংশ স্পর্শ করা থেকে যতটুকু সম্ভব বিরত থাকুন। সঙ্গে বহন করা ব্যাগ বা অন্য যে কোনো দ্রব্য যদি যানবাহনের মেঝে বা অন্য কোনো অংশের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করুন বা ধুয়ে ফেলুন।

৪. ভ্রমণকালে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য কিছুর ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

৫. ভ্রমণকালে কোনো খাবার গ্রহণ করবেন না।

৬. নিজে হাঁচিকাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্য কেউ হাঁচি-কাশি দিলে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিন।

৭. সম্ভব হলে সকাল-সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে গণপরিবহন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।

আসুন কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে সচেতন হই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি।

এম আর করিম রেজা: চিকিৎসক, ত্বক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago