চলতি বছর বিশ্বকাপ আয়োজনে ‘বড় ধরনের ঝুঁকি’ রয়েছে: সিএ প্রধান

সিএ প্রধান কেভিন রবার্টস চলতি বছর বিশ্বকাপ আদৌ মাঠে গড়াবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
kevin roberts
ছবি: এএফপি

যত দিন যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যথাসময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা ততই কমছে। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) প্রধান কেভিন রবার্টস চলতি বছর বিশ্বকাপ আদৌ মাঠে গড়াবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বকাপের সূচি ‘বড় ধরনের ঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে।

আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে করোনাভাইরাস। এই বৈশ্বিক মহামারির প্রভাবে গেল মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে আছে মাঠের ক্রিকেট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার ভিডিও কলে গণমাধ্যমের কাছে সিএ প্রধান রবার্টস বলেছেন, ‘স্পষ্টতই, আমরা আশাবাদী যে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে। পাশাপাশি এটাও বলতে হবে যে, এটা মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে ‘বড় ধরনের ঝুঁকি’ রয়েছে।’

গতকাল শুক্রবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল আইসিসির। বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে) বসেছিল সভায়। কিন্তু কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেনি তারা। আইসিসির পরবর্তী বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ জুন। সেদিন আবারও আলোচনা হবে নির্ধারিত সূচিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করা-না করার ব্যাপারে।

দুশ্চিন্তায় থাকা রবার্টস তাই বিশ্বকাপের বিকল্প সূচি নিয়েও ভাবতে শুরু করেছেন, ‘যদি ইভেন্টটি এবার না হয়, তবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অথবা পরের বছর অক্টোবর-নভেম্বরেও এটি আয়োজন করা যেতে পারে। আইসিসির জন্য আগামী কয়েক বছরের বেশ কিছু বিষয় এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই আইসিসিকে অনেক জটিলতা মোকাবিলা করতে হবে।’

২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি রয়েছে। তাই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০২২ সালের আগে বিশ্বকাপের আসর নাও বসতে পারে।

চলতি অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ মাঠে না গড়ানোটা সুসংবাদ হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) জন্য। কারণ ওই সময়ে তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজন করতে পারবে। তাছাড়া, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরটি না হলে বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে সংস্থাটি।

এবারের আইপিএল মাঠে গড়ানোর কথা ছিল গেল ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় প্রথম দফায় তা স্থগিত করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দারুণ জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল প্রতিযোগিতাটি।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago