আজ শনাক্তের হার ২২.৩৩, ৮ দিনে বেড়েছে ৪.৯১ শতাংশ
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর হার প্রতিদিনই বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৯টি ল্যাবে ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫২৩ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২২ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত প্রতিদিনের নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পরীক্ষা বিবেচনায় দেশে শনাক্তের হার বাড়ছে। গত ২২ মে শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। এরপর ২৩ মে ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ২৪ মে ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ থাকলেও ২৫ মে তা বেড়ে ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ ও ২৬ মে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর ২৭ মে ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ থাকলেও ২৮ মে আবারও বেড়ে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং সর্বশেষ আজ (২৯ মে) ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশে দাঁড়ায়।
শনাক্তের হার বাড়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, তাই শনাক্তের হারও বাড়ছে।’ সামনে শনাক্তের হার আরও বাড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
‘শনাক্তের হার বাড়ছে। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলো খুলে দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’— এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বর্তমানে দেশে ৪৯টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ‘ল্যাব আরও বাড়ানো হবে কি না, হলে তা কী পরিমাণে’— এই বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. নাসিমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ল্যাব বাড়ানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আরও চার-পাঁচটি ল্যাব প্রস্তুত হবে। আরও মেশিন আনতে পারলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। অর্থাৎ চাহিদা অনুযায়ী ল্যাব বাড়তে থাকবে। চাহিদা, সক্ষমতা, মেশিন আমদানি— এগুলোর ওপরেই ল্যাব বাড়ানোর পরিমাণ নির্ভর করবে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪২ হাজার ৮৪৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ৫৮২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ১৫ জন। দেশে মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
Comments