বাস-লঞ্চের ভাড়া না বাড়িয়ে তেলের দাম কমানোর আহ্বান
করোনা মহামারির সময় বাস-লঞ্চের ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে অসংখ্য মানুষ কর্ম হারিয়েছে। এ সময় গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হলে তা হবে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। সংকটময় পরিস্থিতিতে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হলে স্বাভাবিক সময়ে তা কমানোর কোনো নজির দেখা যায়নি। অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যেন গণপরিবহন চলতে পারে তাই জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববাজারে বহু আগেই তেলের দাম কমেছে। দীর্ঘদিন ধরে কম মূল্যে জ্বালানি তেল কিনে চড়া দামে বিক্রি করছে বিপিসি। গণমাধ্যমের সংবাদে জানা গেছে, দেশের রিজার্ভারগুলোতে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল মজুদ আছে। গণমাধ্যমের সংবাদে আরও জানা গেছে, রাজধানীতে চলতে বাস-মিনিবাস প্রতি দৈনিক গড়ে ১২ শ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। হিউম্যান হলার (লেগুনা) প্রতি দিতে হয় আট শ থেকে এক হাজার টাকা। জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব।
সিটি সার্ভিসের (বাস-মিনিবাস) ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ খালি সিট ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। তারপরও প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ১০ থেকে ১৫টি অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা হয়। এই বিষয়গুলো সংকটকালে বিবেচনায় নিতে হবে— বলেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
Comments