প্রতিটি পূর্ণ ম্যাচের জন্য দেম্বেলেকে ১৭২ কোটি টাকা দিয়েছে বার্সা
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনায় যখন উসমান দেম্বেলে যোগ দেন তখন শিরোনাম হয়েছিলেন ক্লাবের সর্বোচ্চ সাইনিংয়ের কারণে। পরেও প্রায় নিয়মিত শিরোনাম হয়েছেন। তবে যতো না তার খেলার কারণে, তার চেয়ে বেশি ইনজুরির কারণে। অনেকে তাকে চলন্ত হাসপাতাল বলেও ডাকেন। এছাড়া মাঝে মধ্যে শৃঙ্খলতাজনিত কারণেও শিরোনাম হয়েছেন। বর্তমানে বার্সেলোনার জন্য হতাশার সবচেয়ে বড় নামই দেম্বেলে।
ক্লাবের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাইনিং এখন পরিণত হয়েছে সবচেয়ে খরুচে সাইনিংয়ে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, খরচের পরিমাণটা এতোই যে, প্রতিটি পূর্ণ ম্যাচ খেলার জন্য তার পেছনে ক্লাবটির ব্যয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭২ কোটি টাকা। এ যেন অজানার পথে 'হাতি' পুষে যাচ্ছে ক্লাবটি।
২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমার যখন পিএসজিতে যোগ দেন তখন তড়িঘড়ি করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে দেম্বেলেকে কিনে আনে তারা। ক্লাবের হয়ে সেটা ছিল তখন সর্বোচ্চ সাইনিংয়ের রেকর্ড। ৯৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ডের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয় তাদের। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা।
আর বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৮টি পূর্ণ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন দেম্বেলে। অর্থাৎ পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। তাই ম্যাচ প্রতি হিসেব করলে খরচ দাঁড়ায় ১৭২ কোটি টাকা। তবে বদলী খেলোয়াড় হিসেবে কিংবা বদলী হওয়ার আগ পর্যন্ত মিলিয়ে আরও ৬৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সে হিসেবে প্রতি ম্যাচে খরচ নেমে আসে ১৯ কোটি টাকায়। তাও অবিশ্বাস্য।
সবমিলিয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে মোট ৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন দেম্বেলে। তাতে গোল দিয়েছেন ১৯টি। ফলে তার প্রতিটি গোলের মূল্য পড়েছে প্রায় ৭২ কোটি টাকা।
বার্সায় যোগ দেওয়া পর থেকেই একের পর এক ইনজুরিতে পড়েই গেছেন দেম্বেলে। মোট ৯ বার। বর্তমানেও ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে আছেন তিনি। তাও প্রায় পাঁচ মাস হতে চলল। আগামী আগস্টের আগে মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
তবে ফুটবল মহলে জোড় গুঞ্জন দেম্বেলেকে আর রাখতে চাইছে না বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমের মধ্যে যে করেও হোক তাকে বিক্রি করতে চায় দলটি। যে কারণে তার মূল্য কমিয়ে দেয় ক্লাবটি। আর কমাতে কমাতে এখন এমন অবস্থা, সর্বশেষ মূল্যটি মাত্র মাত্র ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড। বার্সার জন্য আরও হতাশার সংবাদ এটা যে, চার ভাগের এক ভাগ দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও এ দামে কিনতে আগ্রহী নয় কোনো ক্লাব।
Comments