কালভার্টের মুখ ভরাট করে গোয়াল নির্মাণ, পানিতে তলিয়ে আছে ৬ পরিবারের ঘর

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয় অসহায় পরিবারের বাড়িঘর পাঁচ দিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে। অথচ পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টের মুখে মাটি ভরাট করে গরুর গোয়াল ঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী।
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয় অসহায় পরিবারের বাড়িঘর পাঁচ দিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে। অথচ পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টের মুখে মাটি ভরাট করে গরুর গোয়াল ঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী।

অসহায় পরিবারগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্যে উপজেলা নির্বাহী অফিস, এলাকার চেয়ারম্যানসহ এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েও কোনো সুফল পাননি। ফলে, কোনো উপায় না পেয়ে এসব পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে গ্রামের অন্যের বারান্দা ও উঠানে আশ্রয় নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষিকুন্ড গ্রামের কানা পুকুরের পাশে ছয়টি পরিবার বসবাস করে। তারা পেশায় দিনমুজুর। আম্পান ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্যান্য এলাকার মতো তাদের আধপাকা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাশের কালভার্ট বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানিতে ওই ছয়টি পরিবারের ঘরবাড়ি কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ‘এলাকার এক প্রভাবশালীর ছেলে আগেই কালভার্টের মুখ মাটি ভরাট করে সেখানে গরুর গোয়াল তুলেছেন। ফলে, কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের আর কোনো পথ খোলা নেই।’

তারা আরও বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিস, এলাকার চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তারা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা করেননি। ৫-৬ দিন ধরে ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে থাকায় দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আর আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে পরের বাড়ির বারান্দায় বা উঠানে বহু কষ্টে দিনাতিপাত করছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়ুব হোসেন খান বলেন. ‘আমি এসব অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি বাঁচানোর জন্য ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে রাস্তা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গেলে এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাধা দেয়। যে কারণে পানি নিষ্কাশনের আর কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনিন সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশকে বলে দিয়েছি ঘটনাস্থলে যেয়ে সমস্যার সমাধান করতে। তারা এসে জানিয়েছে, একটু রোদ হলে পানি এমনিতেই শুকিয়ে যাবে। তারপরও আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে দেখছি কী করা যায়।’

সাবদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নওশের আলী নাছির বলেন, ‘নির্বাহী অফিসার আমার কাছে ফোন করেছিলেন। আমি ভূমি অফিসের নায়েবকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। দেখি তারা কীভাবে কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে সরকারি জমিতে গরুর গোয়াল করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago