কোভিড-১৯ এর পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করল বিসিএসআইআর
নভেল করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। আজ শনিবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে তিনটি কোভিড-১৯ কেসের সম্পূর্ণ সিকোয়েন্সিং সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। ডেটা বিশ্লেষনে দেখা যায়, অ্যামাইনো এসিড লেভেলে ৯ টি ভ্যারিয়ান্ট রয়েছে।
গবেষক দলের দলনেতা প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সেলিম খান বলেন, বিশ্লেষনে বাংলাদেশের এই ভাইরাসটির সঙ্গে সবচাইতে বেশি মিল (৯৯.৯৯%) পাওয়া যায় ইউরোপিয়ান উৎস, বিশেষ করে সুইডেনের সাথে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বিসিএসআইআর-এর ৩টিসহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ২৩টি পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিং ডাটা হতে কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া মোটেই যথেষ্ট নয়। উৎস, ক্লাস্টার, ট্রান্সমিশন ডাইনামিক্স, মলিকুলার ডেটিং, ভ্যাক্সিন ডিজাইনসহ অন্যান্য গবেষণা কাজ বেগবান করার জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস সিকোয়েন্সিং ডাটা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রাপ্ত তথ্যাদি গ্লোবাল ডাটা ব্যাংক Global Initiative on Sharing All Influenza Data (GISAID)-এ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা উক্ত সংস্থা কর্তৃক গৃহিত ও প্রকাশিত হয়েছে।
এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের সম্ভাব্য সব এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশনা রয়েছে এবং সে অনুযায়ী বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারসহ ডিআরআইসিএম-এ কাজটি করে যাচ্ছে।
এই কাজ সম্পন্ন হলে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিত্তির ওপর গবেষণাটি প্রতিষ্ঠিত হবে, ফলে নভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসের প্রতিষেধক, ওষুধ ও ভ্যাক্সিন আবিস্কারে সহায়তা করবে।
Comments