করোনাযোদ্ধা সেই কাউন্সিলর স্ত্রীসহ করোনা আক্রান্ত
করোনায় আক্রান্ত, উপসর্গ আছে অথবা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন ব্যক্তিদের মরদেহের সৎকারের কাজ করা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার করোনা শনাক্ত হয়। এর আট দিন আগে তার স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ২২ মে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। তারপর থেকে সে বাসায় আইসোলেশনে আছে। তবে দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এজন্য আমি তার সংস্পর্শে যাই। তাই গত ২৮ মে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করি। আজ সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমার মধ্যে কোন উপসর্গ নেই। আমি সুস্থ আছি। বাসায় আইসোলেশনে আছি। কিন্তু আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তার শ্বাসকষ্ট, জ্বর, বুকব্যথাসহ সব উপসর্গ আছে।’
খোরশেদ বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আমাদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমি ফোনে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা আলী বলেন, ‘কাউন্সিলর খোরশেদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা বাসায় আইসোলেশনে আছেন। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের জন্য বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত গত ৮ মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে ২০ হাজার লিফলেট, ৬০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্যসামগ্রী ও শাকসবজি বিতরণ করেন তিনি।
গত ৮ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত, উপসর্গ আছে ও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন ৬১ জনের মরদেহের সৎকার করেছেন তিনি।
Comments