যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউ ভেঙ্গে বিক্ষোভ, পুলিশসহ নিহত ২, গ্রেপ্তার কয়েকশ

পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কারফিউ ভেঙ্গে বের হয়ে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা।
ছবি: রয়টার্স

পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কারফিউ ভেঙ্গে বের হয়ে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা।

সিএনএনের খবরে জানা গেছে, মিশিগানের পোর্টল্যান্ড শহরের জাস্টিস সেন্টারে বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ভিড়ের মধ্যে গুলিতে ১৯ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।

সার্জেন্ট নিকোল কার্কউড জানান, শুক্রবার রাতে ডেট্রয়েটের গ্রিকটাউনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে, পুলিশের গুলিতে ওই আন্দোলনকারী নিহত হননি বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ একজন ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়েছে।’

এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভের মধ্যেই দু’জন ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে এক কর্মকর্তা মারা গেছেন।

এছাড়াও ওকল্যান্ডে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বিক্ষোভকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়েছে।

শুক্রবার রাতে টেক্সাসের হিউস্টনে প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে চার পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। আটটি পুলিশ গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল মিনিয়াপোলিসে কারফিউ ভেঙ্গে বের হয়ে এসেছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। গত চারদিনের মতো আজও চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ, ভাঙচুরের ঘটনা।

সিএনএন জানায়, মিনিয়াপোলিসে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে।

নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস ও পিপার স্প্রে ছোঁড়াসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংখ্যাটা এখনও কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো না হলেও সিএনএন বলছে, অন্তত কয়েকশ’ আন্দোলনকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন ।

এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি খবর সম্প্রচারের সময় সিএনএনের সাংবাদিক ওমর হেমিনেজ আটকের ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা সিএনএনের সদর দপ্তরের বাইরেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ। গণমাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্লয়েডের হত্যার দ্রুত বিচার হবে।’

শনিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানান, ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউজে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মিনিয়াপোলিসে বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা (আমরা) মেনে নিতে পারি না।’

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago