ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যশোরে বিদ্যুৎ খাতে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি

Joshore_Electric_31_May.jpg
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যশোরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যশোরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুৎ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।

ওজোপাডিকো সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় মোট ১২০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব তার পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে। ৮১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পরিবর্তন করা হয়েছে। ঝড়ে হেলে ৮৬টি খুঁটি সোজা করা হয়েছে। ২১টি ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ছাড়া, ১৮৬টি বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ের ইন্সুলেশন রাবার ও ৯০টি ফিটিংস পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত ২৭ মে যশোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও বিভাগ-২ এর আওতাধীন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয়।

জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭২ জন। আম্পানের আঘাতে পল্লী বিদ্যুতের চার কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য গ্রাহক। ইতোমধ্যে ৫৫২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পরিবর্তন করা হয়েছে। ঝড়ে হেলে পড়া ৭১৩টি খুঁটি সোজা করা হয়েছে। ৪৯টি ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করা হয়েছে। মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে তিন হাজার ৪৬০টি। এক হাজার ৭৭০টি বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ের ইন্সুলেশন রাবার ঝড়ের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কার্যালয় সূত্র জানায়, আম্পানের আঘাতে এক হাজার ৪১০টি স্থানে বৈদ্যুতিক তার লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে যশোরের সদর উপজেলা, শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলায়। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেই তালিকা এখনো করা সম্ভব হয়নি।

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল মান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈনুদ্দিন সব সময় তদারকি করছেন। কর্মীরাও কাজ করছেন।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘কিছু সংখ্যক গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ পাননি। কয়েক দিনের মধ্যেই তারা বিদ্যুৎ পেয়ে যাবেন।’

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) যশোর সার্কেল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ঝড় থামার পর থেকেই আমাদের টিম কাজ শুরু করেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Tax-free income limit may rise to Tk 3.75 lakh

The government is planning a series of measures in the upcoming national budget to alleviate the tax pressure on individuals and businesses, including raising the tax-free income threshold and relaxing certain compliance requirements.

12h ago