করোনাযোদ্ধা সেই কাউন্সিলর স্ত্রীসহ স্কয়ারে ভর্তি
করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকার কাজে এগিয়ে আসা ও নানা কার্যক্রমে আলোচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর এলাকার সাজেদা ফাউন্ডেশনে ভর্তি করান খোরশেদ।
সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। কারণ সে চার থেকে পাঁচ মিনিটও অক্সিজেন ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে না। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার স্ত্রীর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। পরিবারের সকলের কথায় সাজেদা ফাউন্ডেশন থেকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’
এর আগে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, গত ২২ মে স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। তারপর থেকে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। তবে দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হয়। এজন্য তিনি তার সংস্পর্শে যান। পরে গত ২৮ মে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন। শনিবার সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে পাঠানো তার রিপোর্টে পজিটিভ শনাক্ত হয়।
প্রসঙ্গত গত ৮ মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে ২০ হাজার লিফলেট, ৬০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্য সামগ্রী ও শাক সবজি বিতরণ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
গত ৮ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত, উপসর্গ আছে ও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন ৬১জনের মরদেহের শেষকৃত্যের কাজ করেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের শেষকৃত্যের জন্য পরিবার, আত্মীয় কিংবা প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেনি। সেইসব লাশ দাফন ও সৎকার করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন খোরশেদ।
Comments