‘যাতায়াতের সুবিধায়’ দেড় কিলোমিটার পাহাড় কাটল বিএফআইডিসি
প্রস্তাবিত একটি রাবার বাগানে যাতায়াতের সুবিধার্থে চট্টগ্রামের রাউজানের পাহাড়ি অঞ্চলে দেড় কিলোমিটার পাহাড় কেটে একটি রাস্তা তৈরি করছে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি)।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের আশরাফ আলী মাজারের পেছনের পাহাড়ি অঞ্চলে এ সড়ক তৈরি করছে সরকারি সংস্থাটি।
কদলপুর ইউনিয়নে বনবিভাগ থেকে ইজারা নেওয়া ১০০ একর জায়গায় রাবার বাগান করছে বিএফআইডিসি। ওই বাগানে যাতায়াতের জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই রাস্তা তৈরিতে পাহাড় কাটা হয়েছে ২৪,৭৯৬ বর্গফুট।
গত শনিবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক জমির উদ্দিন ও সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম কাটা পাহাড় পরিদর্শন করেছেন। অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটায় বিএফআইডিসিকে নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
উপপরিচালক জমির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পাহাড় কাটা যায়। এ জন্য তাদেরকে হিল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান সাবমিট করতে হয়। কিন্তু বিএফআইডিসি কোনোটাই করেনি।
তিনি বলেন, ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে ছোট-বড় পাহাড় ছিল। এগুলো কমবেশি কাটা হয়েছে।
আমরা তাদেরকে নোটিশ দিয়েছি। শুনানি শেষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যোগ করেন তিনি।
জানতে চাইলে বিএফআইডিসি’র চট্টগ্রাম জোনের মহাব্যবস্থাপক মো. মোকছেদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা বনবিভাগ থেকে ইজারা নেওয়া ১০০ একর জমিতে রাবার বাগান করছি। যেহেতু একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে বনবিভাগের জায়গা, তাই আমরা ধরে নিয়েছি আর কারো কাছ থেকে অনুমতি লাগবে না।
তিনি বলেন, রাস্তাটি আগে থেকে ছিল। আমরা শুধু সংস্কার করছি। আমরা খুব শিগগির অনুমতির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করব।
এভাবে পাহাড় কাটার কোনো বিকল্প ভাবা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে আর বিকল্প ছিল না।
Comments