বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের জামিন আবেদন খারিজ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

জামিন আবেদন ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে গতকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করেন।

এর আগে, বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেসবাউল আসিফ আদালতে বলেছিলেন, ‘এই মামলার জামিন আবেদন এখন আর চালানো হবে না।’ সম্প্রতি বজলুরের করা জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল শুনানিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট মেসবাউল আসিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হাইকোর্টের গতকালের আদেশের কারণে বজলুর রশিদ জামিন পাচ্ছেন না। তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি একই মামলায় বজলুরের জামিন আবেদন নাকচ করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ছয় মাসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত শেষ করার আদেশও দিয়েছেন আদালত।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা মামলায় দুদক বজলুরকে আটক করে গত বছরের ২০ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বজলুর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২,৯৮১ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনতে ২০১৮ সালে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে ফ্ল্যাটটির মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৯ লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে বলা হয়েছিল। ওই বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ জুনের মধ্যে তিনি নগদ ও চেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু, দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার সঠিক কোনো উত্স তিনি দেখাতে পারেননি।

১৯৯৩ সালে জেলসুপার হিসেবে চাকরি শুরু করেন বজলুর রশিদ। ২০১৩ সালে তাকে ডিআইজি প্রিজন হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তাকে বদলি করে ঢাকায় আনা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Israeli strike hits military base south of Tehran

An Israeli attack on Saturday in Iran's west killed at least five army personnel and wounded nine others, Iranian media reported

2h ago