মা ছাড়া প্রথম জন্মদিনে কুমার বিশ্বজিৎ
করোনার এই ক্রান্তিকালে নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাস নেই কুমার বিশ্বজিতের।
তার ‘মা’ শোভা রানী দে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পরপারে চলে গেছেন উল্লেখ করে আজ সোমবার নিজের জন্মদিনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কন্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বললেন তার অনুভূতির কথা।
দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘মায়ের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতাতেই নিজেকে আজকের অবস্থান নিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু, সেই মাকে ছাড়াই আজ আমার প্রথম জন্মদিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সারা বিশ্বেজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে জীবন-জীবিকার প্রশ্নে যেখানে এত বেশি সেখানে আমার জন্মদিন আসলে বড় বেশি গৌণ হয়ে গেছে।’
‘করোনাকালে আন্তরিক ভালোবাসা জানাই এই ক্রান্তিকালে যারা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন তাদের প্রতি। ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ যারা বিভিন্ন স্তরে কাজ করছেন তাদের প্রতি।’
‘সবার মতো আমারও চাওয়া, আমাদের সামাজিক জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক, পৃথিবী সুস্থ হোক, শান্ত হোক। বিবর্ণ জীবনে ফিরে আসুক রঙিন আবহ।’
কুমার বিশ্বজিৎ করোনার দিনগুলোতে নিজের সুরে দুটি গান প্রকাশ করেছেন। গান দুটি লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু এবং সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর।
গান দুটির একটি হচ্ছে ‘লকডাউন’ ও অন্যটি ‘ঈদ আনন্দ’। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশীতা, ইমরান, লিজা ও কিশোর।
কুমার বিশ্বজিতের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে: ‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে,’ ‘তুমি রোজ বিকেলে,’ ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘একদিন বাঙালী ছিলামরে’ ইত্যাদি।
Comments