করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও মাঠে গিয়েছিলেন তিনি!
নিজেদের মাঠ থেকে প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল আতালান্তা। দ্বিতীয় লেগে ঠিকঠাক খেলে বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত। কিন্তু এ সময়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আতালান্তার কোচ জিয়ান পিয়েরো গাসপেরিনি। কিন্তু কাউকে কিছু তো জানাননি, এমনকি সে ম্যাচে ডাগআউটেও ছিলেন এ কোচ।
অবশ্য তখনও পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হননি গাসপেরিনি। কেবল অনুভব করতে পেরেছিলেন। এর দিন দশেক আগে দলের সবার সঙ্গে যখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়, তখন তার ফলাফল ছিল নেগেটিভ। কিন্তু সে ম্যাচের আগে অনুভব করেন। তাই দেশে ফিরেই দ্রুত কোয়ারেন্টিনে চলে যান তিনি। পরে পরীক্ষা করান তিনি। তবে অল্প দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যান এ কোচ।
সম্প্রতি ইতালির শীর্ষ গণমাধ্যম গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাসপেরিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ম্যাচের আগের দিন আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ম্যাচের দিন বিকেলে অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরে দুই রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। যদি ছবিগুলো দেখেন দেখবেন আমি বেঞ্চে খুব একটা ভালো বোধ করছিলাম না। আমার জ্বর ছিল না, কিন্তু আমি অনুভব করছিলাম আমার ৪০ ডিগ্রি (সেলসিয়াস, অথবা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) জ্বর হয়েছে।'
গত ১০ মার্চ ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে সে ম্যাচটি খেলে আতালান্তা। প্রতিপক্ষের মাঠেও জয় পায় তারা। প্রথম লেগে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর এবার তারা জিতে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৮-৪ গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে দলটি।
মূলত বারগামোতে প্রথম লেগের ম্যাচটিই সর্বনাশ ডেকে আনে তাদের। ইতালিতে তখনই করোনাভাইরাস মহামারিতে পরিণত হয়। তারপরও পূর্ণ স্টেডিয়ামেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। সানসিরোতে সে ম্যাচে ৪০ হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিল। যে কারণে বারগামোর মেয়র জিয়ের্জো গরি ম্যাচটিকে 'বায়োলজিক্যাল বোম্ব' আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিকে, গাসপেরিনির মন্তব্যে খেপেছে ভ্যালেন্সিয়া। কারণ তিনি তখন বিষয়টি না লুকিয়ে জানালে ম্যাচটি দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজন করা হতো বলে জানিয়েছে তারা। সেক্ষেত্রে স্পেনের করোনাভাইরাসের সংক্রামণ কিছুটা হলেও ঠেকানো যেত বলে তাদের বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ভ্যালান্সিয়ার খেলোয়াড় ও স্টাফ মিলিয়ে স্কোয়াডের ৩৫ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
Comments