বাউফলে যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলার আলোচিত আসামি সাইমুন (২৮) কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার ভোর ৪টার দিকে পটুয়াখালীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকার বাবু বাজারে কর্মজীবী হোস্টেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার আট দিন পর পুলিশ এই আলোচিত আসামিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হলো।
সাইমুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাউফল শহরের সাহাপাড়ায় একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে বাউফল থানা সংলগ্ন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সামনে একটি তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে এমপি আ স ম ফিরোজ এবং বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী তাপস আহত হন এবং সেদিন রাতে মারা যান।
গ্রেপ্তারকৃত সাইমুনের বাড়ি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াদুদ মিয়া সড়কের পশ্চিম পাশে শান্ত গ্রামে। তার বাবার নাম ঝন্টু প্যাদা।
এ ঘটনায় নিহতদের ভাই পঙ্কজ দাস মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে হুকুমের আসামি করে প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইমুন গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুন চাকু দিয়ে নিহত যুবলীগ কর্মী তাপসকে আঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন। সেদিনের ঘটনার ভিডিওতে সাইমুনকে চাকু হাতে তাপসকে আঘাত করতে দেখা যায়।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
Comments