বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, উদ্বিগ্ন পেন্টাগন

পুলিশি হেফাজতে কৃষাঙ্গ মৃত্যুর জেরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলছে সহিংস আন্দোলন। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

পুলিশি হেফাজতে কৃষাঙ্গ মৃত্যুর জেরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলছে সহিংস আন্দোলন। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারিতে উদ্বিগ্ন দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।

সোমবার, ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের বাইরের লাফায়েত পার্কে বিক্ষোভের সময় রোজ গার্ডেন থেকে ট্রাম্প জানান, যদি অঙ্গরাজ্য ও নগর নেতারা তাদের বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেন, তবে ১৮০৭ সালের বিদ্রোহ আইন প্রয়োগ করে সেনা মোতায়েন করা হবে।

তবে, বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেনা মোতায়েন করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন পেন্টাগণের কয়েকজন কর্মকর্তা।

সিএনএনকে তারা জানান, স্থানীয় গর্ভনর যদি সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘোষণা মারাত্মক হতে পারে।

ইতোমধ্যে স্থানীয় সমন্বয় ছাড়া দেশজুড়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পর নাগরিকদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করেছে, যা তাদের বিক্ষোভে আগুন ঢেলেছে।

স্থানীয়ভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন পেন্টাগণ কর্মকর্তারা।

জর্জিয়া ন্যাশনাল গার্ডের আর্মি মেজর জেনারেল থমাস কার্ডেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো ধরনেরই সামরিক সদস্য মোতায়েন করা উচিত হবে না। নাগরিকদের সুরক্ষায় কাজ করতে পারাটা আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের। কিন্তু, এখনকার পরিস্থিতি বলছে, আমাদের কেবল কোনো বাহিনীর সদস্য নয়, দেশের স্বার্থে দেশের নাগরিক হিসেবে আরও ভালো কাজ করতে হবে।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে মিনিয়াপোলিসে সহিংস আন্দোলন নিয়ে ট্রাম্প টুইটে বলেন, ‘যখন লুটপাট শুরু হবে, তখন গুলিও শুরু হবে।’

এমন হুঁশিয়ারির পরদিনই সহিংস আন্দোলন গোটা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০টি অঙ্গরাজ্যে কারফিউ ঘোষণা ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়।

পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন প্রায় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।

শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের বাইরেও বিক্ষোভ হয়। সেসময় নিরাপত্তার খাতিরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার পরিবার কিছু সময়ের জন্য বাঙ্কারে অবস্থান নেন।

গতকাল বিক্ষোভ আরও সহিংস হয়ে উঠলে সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। এ ঘোষণার পরপরই হোয়াইট হাউজের বাইরে শান্তিপূর্ণ মিছিলে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার জানান, বর্তমানে ২৯টি অঙ্গরাজ্যে ১৭ হাজারেরও বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Mob beating at DU: Six students confess involvement

Six students of Dhaka University, who were arrested in connection with killing of 35-year-old Tofazzal Hossain inside their hall on Wednesday, confessed to their involvement in the crime before a magistrate

4h ago