বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে চুপ থেকো না, আইসিসিকে স্যামি

ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) ও বাকি ক্রিকেট বোর্ডগুলোর প্রতিও আহবান জানিয়েছেন।
darren sammy
ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের নিহতের পর চলা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) ও বাকি ক্রিকেট বোর্ডগুলোর প্রতিও আহবান জানিয়েছেন।

কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু হয় ৪৬ বছর বয়েসী ফ্লয়েডের। দেশটিতে প্রায়ই পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গদের নিপীড়নের ঘটনা চলতে থাকায় এবার প্রতিবাদে হয়েছে বিস্ফোরণ। বিভিন্ন শহরে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে চলেছে আগ্রাসী প্রতিবাদ।  

সেই প্রতিবাদের ঢেউ লেগেছে বাকি দুনিয়াতেও। ফ্লয়েড সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় হওয়ায় প্রতিবাদের বড় অংশে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি তো এই ঘটনায় এখনো বিবৃতি না দেওয়ায় আইসিসিকেও দোষারোপ করতে ছাড়েননি,  ‘হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার ওই ভিডিও দেখার পরও যদি ক্রিকেটবিশ্ব সরব না হয়, তবে বলতে হবে এই সমস্যার তোমারাও অংশ।’

টুইটারে করা পোস্টে  অলরাউন্ডার স্যামি বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইসিসি ও বাকি সব ক্রিকেট বোর্ডকে  চুপ না থাকার আহবান জানান, ‘আইসিসি ও বাকি সব ক্রিকেট বোর্ডদের  বলছি, তোমরা কি দেখছ না আমাদের মতো লোকজনকে কি পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে? আমাদের (কৃষ্ণাঙ্গ) বিরুদ্ধে যত অনৈতিক কাজ চলছে, তার প্রতিবাদ তোমরা করবে না?’ 

‘এটা শুধু আমেরিকা বলে নয়। এটা প্রতিদিনই ঘটছে কোথাও না কোথাও। এখন চুপ থাকার সময় নয়। আমি তোমাদের মতামত শুনতে চাই কারণ দীর্ঘদিন কৃষ্ণাঙ্গরা নির্যাতিত হয়ে আসছে।’

যেকোনো বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবশ্য আইসিসির অবস্থান সব সময় কড়া। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে ক্রিকেটার ও দর্শকদের বর্ণ বৈষম্য বিরোধী আইসিসির অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। বর্ণ বৈষম্যের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল আইসিসি। 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago