ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরানোর পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিসিবিও

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) প্রস্তুত হতে শুরু করেছে। ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরানোর পরিকল্পনা সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
bangladesh cricket team
ছবি: বিসিবি

করোনাভাইরাস সংকটের মাঝেই সবার আগে অনুশীলন শুরু করেছে ইংল্যান্ড। আবাসিক ক্যাম্প চালু করেছে শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও ফিরেছেন মাঠে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) প্রস্তুত হতে শুরু করেছে। ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরানোর পরিকল্পনা সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করার পথে এগোনোর কথা ভাবছে বিসিবি। খেলোয়াড়রা কীভাবে নিরাপদে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীকে নির্দেশনা দিয়েছে তারা।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো যে বাধ্যবাধকতা দিয়েছিল, অনেক জায়গাতেই তা ধীরে ধীরে শিথিল হতে শুরু করেছে। তাই গেল মার্চ থেকে বন্ধ থাকা ক্রিকেট নিরাপদে মাঠে ফেরাতে সদস্য দেশগুলোকে কয়েকদিন আগে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে আইসিসি।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান অবশ্য আগেই জানিয়েছেন যে, মহামারি চলাকালীন খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়ে কোনো ঝুঁকি তারা নেবেন না। তা ছাড়া, অন্যান্য দেশে ক্রীড়া কার্যক্রম ধীরে ধীরে আবার শুরু হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।

তবে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। তাই দেবাশীষ সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন যে, কীভাবে আবারও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা যাবে সে সম্পর্কে তিনটি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন তিনি, ‘ক্রিকেটারদের ফিট রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বিসিবি আমার কাছে পরিকল্পনা চেয়েছিল এবং আমি তিনটি পরিকল্পনা সাজিয়েছি। আমি সেগুলো জমা দিব। এরপর বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা কখন এগুলো কার্যকর করতে শুরু করবে।’

দেবাশীষ আরও বলেছেন যে, নির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি, ‘হ্যাঁ, বোর্ড পরিকল্পনা চেয়েছিল। তবে এগুলো কখন থেকে কার্যকর করা শুরু হতে পারে তা জানায়নি। তা ছাড়া, চলমান পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করতে পারব কি-না সেটাও তো জানি না।’

শুরুতে একক পর্যায়ের অনুশীলন হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘এই মুহূর্তে দলীয়ভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব নয়। যে তিনটি পরিকল্পনা জমা দেওয়া হবে, তার মধ্যে একটি হলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রশিক্ষণ। প্রত্যেক ক্রিকেটার এক ঘন্টা করে সময় পাবেন এবং তিনি একা অনুশীলন করবেন। কয়েকজন কর্মী তাকে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত থাকবে। লোক যত কম জড়িত থাকবে, ঝুঁকি তত কম হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago