‘হংকং ইস্যুতে ব্রিটেনের হস্তক্ষেপ, ভালো হবে না’ চীনের হুঁশিয়ারি

হংকং ইস্যুতে ব্রিটেনের হস্তক্ষেপের ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, চীনের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া হংকং ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিল’ নিয়ে ব্রিটিশ নেতাদের মন্তব্যের জবাবে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। ফাইল ফটো রয়টার্স

হংকং ইস্যুতে ব্রিটেনের হস্তক্ষেপের ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, চীনের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া হংকং ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিল’ নিয়ে ব্রিটিশ নেতাদের মন্তব্যের জবাবে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বিতর্কিত হংকং ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিল’ কার্যকর হলে তিন লাখেরও বেশি হংকংবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ব্রিটেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব হংকংয়ের ওপর চীনের ‘আধিপত্য বিস্তার’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনটি পুনরায় বিবেচনা করে দেখার জন্য বেইজিংকে আহ্বান জানান।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা কেন্দ্র হংকংয়ের ওপর বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লন্ডন উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে লন্ডন হংকংবাসীদের থেকে “দূরে সরে যাবে না”।’

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে এই প্রসঙ্গে একটি কলামে বরিস বলেন, ‘চীন যদি জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে, তবে কয়েক লাখ হংকংবাসীর জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসা ও এমনকি নাগরিকত্ব প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হবে।’

বুধবার, ব্রিটেনের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্যকে পরামর্শ দেব আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে সরে দাঁড়াতে। ঠান্ডা যুদ্ধের মানসিকতা ও ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকে সরে দাঁড়ান। সত্যকে স্বীকার করে নিন যে, হংকং এখন (চীনে) ফিরে এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডনের উচিত অবিলম্বে হংকং ও চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। তা না হলে উল্টোটা ঘটতে পারে।’

শুরু থেকেই জাতীয় সুরক্ষা আইন নিয়ে বেইজিংয়ের সমালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এ আইনের ফলে হংকং নাগরিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব আইনটি পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে বেইজিংকে আহ্বান জানান।

গত ২৮ মে, চীনের পার্লামেন্টে অনুমোদন পায় বিতর্কিত হংকং ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিল’।

বিবিসি জানায়, এর মাধ্যমে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের চলমান বিক্ষোভ দমনের জন্য সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারির চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছাল।

ওই আইনে দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অধীনে হংকংয়ের আইন প্রণেতা ছাড়াই সেসব অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার সুযোগ পাবে চীনা কর্তৃপক্ষ।

Comments

The Daily Star  | English

Prof Yunus set for crucial bilateral talks with Malaysian PM tomorrow

First visit to Bangladesh by foreign head of government since August 5

1h ago