মনিকগঞ্জে ট্রাক থেকে অবৈধভাবে টোল আদায়ের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন থেকে অবৈধভাবে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
Manikganj illegal toll collection
মানিকগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে টোল নেওয়া হচ্ছে। ৩ জুন ২০২০। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন থেকে অবৈধভাবে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

পৌর এলাকার ভেতরে ট্রাক লোড-আনলোড ও টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত চৈত্র মাসে (মার্চ-এপ্রিল)। কিন্তু, এখনও অবৈধভাবে টোল আদায় অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার সুমন খন্দকারের বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার জরিনা কলেজের মোড়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, দুধবাজার, গঙ্গাধর পট্টি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এবং মানিকগঞ্জ বিজয় মেলার মাঠ এলাকা থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ইজারাদারের লোকজনদের টোল আদায় করতে দেখা যায়।

মানিকগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বাংলা ১৪২৬ সালের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্রের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় সুমন খন্দকারকে অভ্যন্তরীণ ট্রাক লোড-আনলোড ও টোল আদায়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

পৌরসভার চুক্তি মোতাবেক ইজারাদার সুমন খন্দকার শহরের চারটি পয়েন্ট থেকে ওই সময়ের মধ্যে পৌর এলাকার ভেতরে আসা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে টোল আদায়ের কথা।

কিন্তু, তিনি শুরু থেকেই পৌরসভার দেওয়া শর্ত লঙ্ঘন করে উল্লেখিত স্থানের বাইরে মানিকগঞ্জ বিজয় মেলার মাঠের মোড়, জরিনা কলেজের মোড় থেকেও (অতিরিক্ত পয়েন্ট) টোল আদায় করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রাত নয়টার দিকে শহরের বিজয় মেলার মাঠের মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে টোল আদায়কালে কথা হয় ইজারাদারের কর্মচারী উজ্জল শেখের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ইজারাদার সুমন খন্দকারের নির্দেশে আমরা চার জন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান থেকে টোল নিচ্ছি।’

দুই শিফটে আট জন এই টোল আদায়ের কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

পৌরসভার হিসাব মতে, গেল ৩০ চৈত্র (১৪২৬) সালে ওই ইজারাদারের টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরপর প্রায় ১ মাস ২২ দিন ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে।

ওই ইজারাদার পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজসে টোল আদায় করছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করেছেন।

তবে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোবিন্দ সাহা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কীভাবে প্রায় দুই মাস ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে— এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’

সে সময় ওই কর্মকর্তা ইজারাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে টোল আদায়ের কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন ইজারাদার সুমন খন্দকার।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনা সত্য হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

5h ago