করোনাভাইরাস: কক্সবাজার পৌর শহরের ১২ ওয়ার্ডের ১০ টি ‘রেড জোন’

কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে এক নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ এবং বাকি ১০ টি ওয়ার্ডকে করোনা সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে  এক নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ এবং বাকি ১০ টি ওয়ার্ডকে করোনা সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা প্রতিরোধে একটি করে কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলরগণ হবেন ওয়ার্ড কমিটির প্রধান। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে যুবক ও শিক্ষার্থীদের  নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হবে। গঠিত কমিটিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী,  পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কক্সবাজার পৌরসভার যে ওয়ার্ডগুলো ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব এলাকা থেকে কোনো লোক বাইরে যেতে ও প্রবেশ করতে পারবেন না। এসব এলাকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে এসব এলাকার গরীব, অসহায়, নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।

যে দুটি  ওয়ার্ডকে ‘ইয়েলো জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানের সবকিছু সীমিত আকারে চলবে, সবার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে।

সভায় একইভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে সংখ্যার উপর ভিত্তি করে কক্সবাজার  জেলাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক এবং চারটি পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই বিভাজন করা হয়। বিভাজনে যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড করোনায় বেশি সংক্রামিত হয়েছে অথবা সংক্রমণের আধিক্য আছে সেগুলোকে ‘রেড জোন’ বা লাল চিহ্নিত এলাকা, যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড মধ্যম পর্যায়ে সংক্রামিত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোকে ‘ইয়েলো জোন’ বা হলুদ চিহ্নিত এলাকা এবং যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে করোনা একেবারে সংক্রামিত হয়নি সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে ‘গ্রিন জোন’ বা সবুজ চিহ্নিত এলাকা হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে।

যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড ‘গ্রিন জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে সেখানে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মতো প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

তবে, সভায় কক্সবাজার পৌরসভার কোন ওয়ার্ডকে ‘গ্রিন জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago