৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন ডাক্তার মঈনের পরিবার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দেশের প্রথম চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিনের পরিবার পাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা প্রথম চিকিৎসক হিসেবে সরকারি ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা তার পরিবারকে দেওয়া হবে।’
গত ৫ এপ্রিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ১৫ এপ্রিল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মো. হাবিবুর রহমান খান আরও বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের জন্য ডা. মঈনের পরিবারের আবেদনটি সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি অর্থ মন্ত্রণালয় দ্রুতই ক্ষতিপূরণের অর্থ ডাক্তার মঈনের পরিবারকে প্রদান করবে।’
করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবায় দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে থাকা মাঠ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ বিষয়ে গত ২৩ এপ্রিল একটি পরিপত্র প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। যাতে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন কাঠামো অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা এবং আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার পরিবার ২৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সে অনুযায়ী ডাক্তার গত ২৭ এপ্রিল মঈন উদ্দিনের স্ত্রী, সিলেটের পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. চৌধুরী রিফাত জাহান মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছিলেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেছেন। তবে ক্ষতিপূরণ পাস হয়েছে কি না তা এখনো মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়নি।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘ঘোষিত ক্ষতিপূরণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রদান করা আমাদের উদ্দেশ্য। চিকিৎসক মঈন উদ্দিনের আবেদন ছাড়াও যেমন আবেদন আমরা পেয়েছি, সকল আবেদন আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাড় দেবো।’
Comments