অক্টোবরে এক ভেন্যুতে হবে এএফসি কাপ!

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত হয়ে আছে বিশ্বের প্রায় সব ক্রীড়া আসর। স্থগিত রয়েছে এএফসি কাপও। তবে ফের মাঠে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আয়োজকরা। দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট তিন দেশের যে কোনো একটি অথবা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে বাকি ম্যাচগুলো হবে তা এক প্রকার নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাহের বিন আনসারী।

চলতি মৌসুমে এএফসি কাপের ‘এফ’ গ্রুপে খেলছে বাংলাদেশের দল বসুন্ধরা কিংস। চার দলের মধ্যে দুটি দল অবশ্য মালদ্বীপের, অপরটি ভারতের। শুক্রবার ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এএফসির অনলাইন সভায় ছিলেন এই তিন দেশের প্রতিনিধিরাও। সেখানেই আলোচনার পর তিন দেশের নির্দিষ্ট একটি ভেন্যু বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে 'হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে' পদ্ধতিতে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে জানালেন আনসারী।

এ প্রসঙ্গে আনসারী বলেন, 'চার ক্লাবের প্রতিনিধি সবাই এএফসি কাপ শেষ করার জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে কিংবা অক্টোবরের শুরুতে ফের খেলা শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহী সবাই। তবে একটা নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ম্যাচগুলো আয়োজন করার বিষয়টি সবাই মোটামুটি মেনে নিয়েছে। এছাড়া নিয়মনীতির ব্যাপার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'

এফসির চাওয়া হচ্ছে ২০২০ সালের এএফসি কাপ নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ করা। সে অনুযায়ীই এগিয়ে যেতে রাজি চার ক্লাব। চূড়ান্ত না হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে বিষয়গুলো। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এএফসির কাছ থেকে এ ব্যাপারে পুর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত মার্চে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হের্নান বার্কোসের হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপের দল টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপে শুভসূচনা করে বসুন্ধরা কিংস। এদিকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তির বিষয় নিয়েও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। অধিনায়ক দানিয়েল কলিনদ্রেসের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে বসুন্ধরার। বার্কোসের সঙ্গেও ভবিষ্যৎ ঝুলে আছে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago