করোনাকালে চিকিৎসা!
আবু সাঈদ ব্যাংকের চাকরি থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। ডায়াবেটিস আগে থেকেই ছিল। এখন যোগ হয়েছে জ্বর, ঠান্ডা। চিকিৎসার জন্যে বের হয়েছিলেন বাসা থেকে। বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে গেছেন চিকিৎসার জন্যে। কোনো ক্লিনিক তার চিকিৎসা করেনি, ফিরিয়ে দিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত নন, সেই সার্টিফিকেট ছাড়া তার চিকিৎসায় অপারগতা প্রকাশ করেছে ক্লিনিকগুলো। নিরুপায় হয়ে অসুস্থ শরীরে গতকাল সকালে গিয়েছেন রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের বাইরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে আরও ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মাঝখানে বসে একটু বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করছেন। করোনা পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হয়ে দুপুরের দিকে ফিরে গেছেন আবু সাঈদ।
চিত্রটি গতকাল ভোরের। ঢাকা শিশু হাসপাতালের ড্রাইভওয়েতে মশারির নিচে পাশাপাশি শুয়ে আছেন রোগীদের স্বজনরা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হাসপাতালের ভেতরে শুধু শিশুর মায়েদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এর বিপরীত প্রভাব বোঝা যায় হাসপাতালের বাইরের এই চিত্রটি দেখলে। প্রতিদিনই ৪০-৫০ জন মানুষ এভাবেই সেখানে গাদাগাদি করে থাকছেন।
Comments