চকরিয়া পৌর এলাকা ও ডুলাহাজারার ৩টি ওয়ার্ড ‘রেড জোন’ ঘোষণা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডকেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে, কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের সবগুলোই ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের  ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডকেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে, কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের সবগুলোই ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়।

আজ শনিবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার সমগ্র চকরিয়া পৌরসভা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উল্লেখিত এলাকায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে হওয়ায় ওইসব এলাকায় বসবাসকারীরা অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই এসব এলাকা “রেড জোন” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘোষিত রেড জোন এলাকায় আগামী ৭ জুন বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী ১৪ দিন কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে। এই ১৪ দিনের লকডাউনে করোনার প্রাদুর্ভাব না কমলে প্রয়োজনে লকডাউনের সময় আরও বাড়তে পারে।’

‘“রেড জোন” হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লকডাউন করা এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষদের সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।  করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে প্রশাসনের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। দরকার হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িতরা অনুমতি সাপেক্ষে “রেড জোন” এ অতি সীমিত আকারে চলাচল করতে পারবেন’, বলেন তিনি।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও চকরিয়া উপজেলা দিনের পর দিন করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই এ দুই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

উল্লেখ্য, গতকাল দিনগত রাত ১২টা থেকে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১৫ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন প্রশাসনের দেওয়া নিয়ম-কানুন নাগরিকদের অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়ে শহরজুড়ে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে জেলা তথ্য অফিস, জেলা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন, কক্সবাজার পৌরসভা ও কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স।

আরও পড়ুন:

করোনাভাইরাস: কক্সবাজার পৌর শহরের ১২ ওয়ার্ডের ১০ টি ‘রেড জোন’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago