কোভিড-১৯

কক্সবাজারে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় ঠেকানো যাচ্ছে না মৃত্যু

২৪ ঘণ্টার ও কম সময়ে কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে দুইজন নারীসহ মারা গেছে পাঁচজন। চিকিৎসক ও মারা যাওয়া রোগীদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলছেন, কক্সবাজারে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা থাকলে হয়ত অনেক করোনা রোগীর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হতো।

২৪ ঘণ্টার ও কম সময়ে কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে দুইজন নারীসহ মারা গেছে পাঁচজন। চিকিৎসক ও মারা যাওয়া রোগীদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলছেন, কক্সবাজারে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা থাকলে হয়ত অনেক করোনা রোগীর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হতো।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উখিয়ার কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কক্সবাজারের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠক ও পর্যটন শিল্পের উদ্যোক্তা আবু সায়েম ডালিম (৪২)। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয় তিন দিন আগে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাকে উখিয়া কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান তিনি।

শুক্রবার রাত আটটায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া নারী রূপবান (৫০)। তিনি কলাতলী আদর্শ গ্রামের মোহাম্মদ কালুর স্ত্রী। আদর্শ গ্রাম সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরি প্রয়োজনেও হাসপাতালে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি।

রূপবানের করোনা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল এক সপ্তাহ আগেই। কিন্তু তিনি ও তার পরিবার প্রথমে এটা গোপন রাখে। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ওই রোগী অক্সিজেন দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা তা করেননি।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাত্র দুই মিনিট পর শবে মেরাজ (৫০) নামে এক নারী মারা যান বলে জানান আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা শাহীন মোহাম্মদ আবদুর রহমান চৌধুরী।

কক্সবাজার জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে এখনও সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নেই। অতি দ্রুত এই ব্যবস্থা করা না গেলে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে। তিনি এ ব্যাপারে দেশি-বিদেশি এনজিও এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

নাগরিক সংগঠন আমরা কক্সবাজারবাসীর সংগঠক করিম উল্লাহ বলেন, অক্সিজেন, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের অভাবে প্রতিদিন একরকম বিনা চিকিৎসায় করোনা রোগীরা মারা যাচ্ছে। দ্রুত সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর স্থাপনা করা না হলে মাঠে কর্মসূচি দেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago