মানিকগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৪
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মালঞ্চ গ্রামে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু ও চার জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশে ধান মাড়াই করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ দিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় বজ্রপাতে সেলিম মিয়া (২৮) ও কামরুল খন্দকার (১৪) নামে দুই জন মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তারা মারা যান।
মানিকগঞ্জ
বজ্রপাতে নিহত মো. জাহাঙ্গীর আলম মানিকগঞ্জ পৌরসভার মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা শহরের পোড়রা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বলেন, 'আজ দুপুরে দেড়টার দিকে বাড়ির পাশে ধান মাড়াই করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম এবং সিরাজগঞ্জ থেকে আসা দুই দিনমজুর। তার সঙ্গে তার মা রিজিয়া বেগম ও ফুফু আয়েশা বেগমও ছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টিসহ বজ্রপাতে মারাত্মকভাবে আহত হন জাহাঙ্গীর।'
তিনি আরও জানান, এ সময় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্যরাও আহত হন। গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর ও তার ফুফু আয়েশা বেগমকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা. বদরুল আলম জানান, বজ্রপাতে আহত জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। আহত আয়েশা বেগমকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বলে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত সেলিম মিয়া (২৮) ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর গ্রামের ও কামরুল খন্দকার (১৪) কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বড়ছয়সূতি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পরিবারের বরাত দিয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, পেশায় জেলে সেলিম মিয়া প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময়, বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন বলে জানান ওসি।
এ দিকে, কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. আবদুল হাই তালুকদার জানান, আজ শনিবার ভোর ৬টার দিকে কামরুল তার বাবার সঙ্গে বাড়ির পাশের ডোবায় মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হন। পরে, তাকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
Comments