করোনাভাইরাস

বিশ্বে মৃত্যু ৪ লাখ ছাড়াল, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার

ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে চার লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন প্রায় ৩১ লাখ মানুষ।

গত ১১ জানুয়ারিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল। করোনায় মৃত্যুর তথ্য বলছে, ১১ জানুয়ারি প্রথম মৃত্যুর পর ২ এপ্রিল ৫০ হাজার ছাড়ায় করোনায় মুত্যু। এরপর ১০ এপ্রিল এটি এক লাখ, ১৭ এপ্রিল দেড় লাখ, ২৬ এপ্রিল দুই লাখ, ৫ মে আড়াই লাখ ও ১৫ মে ৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর এর  ২৩ দিন পর ৭ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১২১ জনে।

আজ রোববার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ লাখ ১৩ হাজার ৬০৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ১২১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৮ জন।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ২০ হাজার ৬১ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮০২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮৪৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৯৩০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫৪৮ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়াতেও। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ হাজার ৮৫১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ জন।

এ ছাড়া, ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৩১০ জন, মারা গেছেন ২৭ হাজার ১৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮০১ জন, মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৮৪৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৪৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৯২৪ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৬ জন, মারা গেছেন ৮ হাজার ৬৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৮ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন, মারা গেছেন ৮ হাজার ২০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ২১৮ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২২ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৫ জন, মারা গেছেন ৬ হাজার ৯৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ১৮৬ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৪২৬ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬৫ হাজার ৭৬৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ৮৮৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯০৩ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগের দুই করোনাভাইরাস সার্স ও মার্সের তুলনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাসে মারা যান ৭৭৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন।

অন্যদিকে, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরেক করোনাভাইরাস মার্সে (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৪, মারা গেছেন ৮৫৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago