চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

দীর্ঘ আড়াই বছর পর হাইমচরের চাঞ্চল্যকর ৯ বছরের শিশু মারজান ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. সেলিম বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
arrest_logo-1_0.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

দীর্ঘ আড়াই বছর পর হাইমচরের চাঞ্চল্যকর ৯ বছরের শিশু মারজান ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. সেলিম বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

আজ রোববার চাঁদপুর  ডিবি পুলিশের ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,‘আজ দুপুরে ডিবি পুলিশের এসআই রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল তার রিমান্ড আবেদন করে আদালতে উপস্থিত করা হবে।’

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর  বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাইমচররের ঈশানবালা এলাকার ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজানকে রাস্তায় একা একা ঘুরছিল। এ সময় একজন মুখ চেপে ধরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে চার জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি রক্তাক্ত হয়ে  জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ধর্ষকরা তাকে গলা টিপে হত্যা করে পাশে নদীর পাড়ে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তার মরদেহ নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করে।

পরে ধর্ষক ও হত্যাকরীরা সুকৌশলে মারজানকে জীনে মেরেছে বলে প্রচার করে মরদেহ দাফন করে ফেলে। কিন্তু, মারজানের বাবা ২০১৮ সালে ১০ জানুয়ারি চার জনকে আসামি করে চাঁদপুরের  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।

আদালত ওসি হাইমচর থানাকে সরাসরি মামলা রজুর আদেশ দেন। পরে এর তদন্ত ভার দেওয়া হয় হাইমচর থানার এস আই সুমন মিয়াকে।

ঘটনার এক বছর চলে গেলেও মামলার তদন্তে উল্লেখ করার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ সুপার চাঁদপুর মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করেন।

প্রথমে  ডিবির এসআই শামীম আহম্মদকে মামলার আইও করা হলেও ২০২০ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি আইও পরিবর্তন করে এসআই রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । এক মাসের মাথায় এসআই রেজাউল মামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত এজাহার বহির্ভূত আসামি নান্নু চৌকিদারকে পার্শ্ববর্তী শরিয়তপুর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেন ।

পরে গ্রেপ্তার নান্নু জিজ্ঞাসাবাদে এজাহার নামীয় আরও তিন জন  আসামি মারজানকে নির্যাতন ও হত্যার লোমহর্ষক বিবরণ দেন।  আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়ার পর মামলার অন্যতম আসামি মো. সেলিম বেপারীতে  গ্রেপ্তার করা হয়।   

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago