কলের গান থেকে অ্যাপের গান

ছবি: সংগৃহীত

অতীতে ছিল কলের গানের রেকর্ড। তারপর এল অডিও ক্যাসেট। সে সময় লাখ লাখ কপি ক্যাসেট বিক্রি হয়েছে। এসব এখন শুধু অতীত। স্থান নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

প্রযুক্তির কল্যাণে ক্যাসেটের যুগ বিলুপ্ত হয়েছে। এরপর এল সিডির যুগ। এটা খুব বেশি সুখকর ছিল না অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য। প্রযুক্তির সুফলের পাশাপাশি এর অপব্যবহারও বাড়ল।

পাইরেসির ধাক্কায় সিডির ব্যবসা যখন শূন্যে, ঠিক সে সময়ে নতুন মাধ্যম হিসেবে এল ইউটিউব।

তবে গত কয়েক বছর ইউটিউবে গান প্রকাশ করে বাণিজ্যিকভাবে খুব বেশি সফল হতে পারেনি কোম্পানিগুলো। বর্তমানে অডিও ইন্ডাস্ট্রি যখন দিশেহারা অবস্থায় তখন আশার আলো দেখাচ্ছে মোবাইলের অ্যাপগুলো।

গ্রামীণফোনের জিপি মিউজিক, বাংলালিংক ভাইভ, স্প্ল্যাশ মিউজিক, স্বাধীন, বাংলাফ্লিক্স, টেলিফ্লিক্স, বাংলার ঢোল প্রভৃতি অ্যাপে গান প্রকাশে অডিও ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন অডিও গানগুলো এখন প্রকাশিত হচ্ছে অ্যাপে।

অ্যাপে গান প্রকাশ অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য কতটা সুফল বয়ে আনবে?— এমন প্রশ্নের জবাবে দেশের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেকের কর্ণধার সুলতান মাহমুদ বাবুল দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘অ্যাপের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো দেখতে পাচ্ছি। তবে এখনো শ্রোতারা অ্যাপ থেকে গান শুনতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। এর জন্য সময় লাগবে।’

অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিডি চয়েসের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেল ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘এখন কম সংখ্যক মানুষ ইউটিউবে গান শোনেন। ভিউ তেমন নেই। অডিও গানের জন্য অ্যাপ বেস্ট। সামনে অ্যাপ মূল ভরসা। অ্যাপের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো দেখতে পাচ্ছি।’

ধ্রুব মিউজিকের কর্ণধার ধ্রুব গুহ ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘সময়ের পরিক্রমায় সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের কর্মপরিকল্পনাও নতুন করে সাজাতে হয়।’

তার মতে, ‘অডিও ইন্ডাস্ট্রিকে রক্ষা করার পাশাপাশি চাঙ্গা করতে অডিও অ্যাপের কোনো বিকল্প নেই।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

37m ago