বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ, চালু হচ্ছে ‘কোভিড-১৯’ বদলি

করোনাভাইরাসের মহামারির মাঝে ক্রিকেট মাঠে গড়ালেও খেলোয়াড়দের সুরক্ষা যেন নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য গেল মাসে অন্তর্বর্তীকালীন কিছু নিয়ম চালুর সুপারিশ করেছিল অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি।

সেই প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান নির্বাহীদের কমিটি। মঙ্গলবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেছে আইসিসি। অর্থাৎ আগামীতে ক্রিকেটের নিয়মকানুনে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।

বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, স্থানীয় আম্পায়ার নিয়োগ দেওয়া, প্রতি ইনিংসে বাড়তি একটি ডিআরএস রিভিউ যুক্ত করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছিল আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। সেগুলো অনুমোদন পেয়েছে। পাশাপাশি টেস্ট ম্যাচে সাময়িকভাবে ‘কোভিড-১৯ বদলি’ চালুর ব্যাপারেও সম্মতি দিয়েছে আইসিসি।

বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ:

বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে অথবা বলকে চকচকে করতে লালা ব্যবহার করতে পারবেন না খেলোয়াড়রা। কেউ লালা ব্যবহার করলে প্রাথমিক পর্যায়ে আম্পায়াররা ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি সামলাবেন। কিন্তু একই ঘটনা আবার ঘটালে সেই দলকে সতর্ক করা হবে।

প্রতি ইনিংসে একটি দলকে সর্বোচ্চ দুবার সতর্ক করা হবে। এরপরও একই কাজ করলে পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান প্রতিপক্ষ দলের ইনিংসে যোগ হবে। কেউ লালা ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়াররা বল জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেবেন। এরপর পুনরায় খেলা শুরু করা যাবে।

কোভিড-১৯ বদলি:

টেস্ট চলাকালীন কোনো ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে, তার জায়গায় বদলি নামাতে পারবে সংশ্লিষ্ট দল। এক্ষেত্রে ‘কনকাশন বদলি’র নিয়মই অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ বদলি ক্রিকেটার হবেন একই ধরনের; ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ব্যাটসম্যান, বোলারের পরিবর্তে বোলার।

এটির অনুমোদন দেবেন ম্যাচ রেফারি। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।

স্থানীয় ম্যাচ অফিসিয়াল:

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভ্রমণের ওপরে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই নিরপেক্ষ অফিসিয়াল দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার নিয়মটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এলিট প্যানেল ও আন্তর্জাতিক প্যানেলের ম্যাচ অফিসিয়ালদের মধ্য থেকে স্থানীয়দের নিয়োগ দিতে পারবে আইসিসি।

বাড়তি ডিআরএস রিভিউ:

উপর্যুক্ত নিয়মটির কারণে অনেক সময় তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ ম্যাচ অফিসিয়াল দায়িত্বে থাকতে পারেন। সেকারণে প্রতি ইনিংসে বাড়তি একটি ডিআরএস রিভিউ যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে টেস্টের প্রতি ইনিংসে রিভিউ থাকবে তিনটি, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির প্রতি ইনিংসে থাকবে দুটি।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance jumps 32% in May

Migrants sent home $2.97 billion last month

10m ago