বিএসএমএমইউ গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার ফলাফল আজ নয়, দিতে পারে ‘আগামী সপ্তাহে’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তের ‘জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড টেস্ট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে। এ সপ্তাহেই পরীক্ষার ফল জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা দিতে পারছে না।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে এই সপ্তাহে পরীক্ষার ফলাফল জমা দেব। তবে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা হওয়ার কারণে এটি জমা দিতে দেরি করতে হচ্ছে। আশাকরি, আগামী সপ্তাহে এটি জমা দিতে পারব। আমরা ইতিমধ্যে প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করেছি।’
তবে তাদের কি ধরণের প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছু বলেননি তিনি।
অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আজ বুধবারের মধ্যে তারা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে কিট পরীক্ষার ফলাফল জমা দেবেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানও সম্প্রতি বলেছিলেন, বিএসএমএমইউ’র বিচারে কার্যকর প্রমাণিত হলে কিটগুলোর অনুমোদন দিতে তিনি বিলম্ব করবেন না।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার জন্য কিট জমা দিয়েছি। এখন বাকিটা তাদের মর্জি (দ্রুত কিটের পরীক্ষা সম্পন্ন করা)।’
গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষা করার জন্য বিএসএমএমইউ’র মাধ্যমে ট্রায়াল দেওয়ার অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বিএসএমএমইউ ২ মে রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে।
বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার জন্য সারাবিশ্বে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি আরটি-পিসিআর ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এটি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।
অপর দিকে, র্যাপিড টেস্ট কিট দিয়ে খুবই কম খরচে পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায় এবং এর জন্য সময় প্রয়োজন হয় তিন থেকে পাঁচ মিনিট। পৃথিবীর অনেক দেশই দ্রুত পরীক্ষার জন্য এই কিট ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পরছে করোনাভাইরাস। পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে সময় লাগছে বেশি। তাই পরীক্ষার চাপ সামলাতে শনাক্ত করার জন্য র্যাপিড টেস্ট কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও।
Comments